পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ। " · ජෛෂ් সুতরাং শাস্ত্ৰাদি বস্তুসমূহে চিরকাল অনুসন্ধান করিলেও শ্ৰীভগবস্তুত্ত্ব পরিজ্ঞান-সম্ভবপর হয় না। তথাপি শাস্ত্র মধ্যে শ্ৰীগৌর ভগবানের অবতরণের প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। যদিও শ্ৰীভগবান কলিতে প্রচ্ছন্নভাবে প্রকাটিত হইলেন, কিন্তু তাহার অন্তরঙ্গ ভক্তগণ নানাবিধ ব্যাপারে। তঁহাকে চিনিয়া লইয়া তদীয় শ্ৰীচরণেই দেহ মন আত্মা সমৰ্পণ করিলেন । পরমবিদ্বৎশিরোমণি শ্ৰীল সাৰ্ব্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় পৰ্য্যন্ত এই শ্ৰীগৌরভগবানকেই কলির একমাত্ৰ উপাস্য জানিয়া তাহার শ্ৰীচরণকমলকর্ণিকায় স্বচিত্তরূপ ভ্রমরকে লীন করিয়াছিলেন। তঁহার শ্ৰীমুখের Šठुि (qश्ले কালান্নিষ্টং ভক্তিযোগং নিজং যঃ প্রাদুষ্কৰ্ত্তং কৃষ্ণচৈতন্তনামা। আবিভূতি স্তস্ত পদারবিন্দে গাঢ়ং গাঢ়ং লীয়তাং চিত্ত-ভৃঙ্গঃ ॥ এখন শ্ৰীমদ্ভাগবতের শ্লোকের অবশিষ্টাংশের ব্যাখ্যা করা যাইতেছে১। কৃষ্ণ বর্ণম-কৃষ্ণ ইতি, এতীে বণেী যাত্র যস্মিন শ্ৰীকৃষ্ণচৈতষ্ঠা নামি কৃষ্ণত্বাভিব্যঞ্জকং কৃষ্ণেতি বর্ণযুগলং প্ৰযুক্তং অস্ত্ৰীত্যৰ্থঃ । অর্থাৎ “কৃষ্ণ” এই বর্ণদ্বয় আছে যাহাতে । শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য নামে কৃষ্ণ শব্দ প্ৰকাশের নিমিত্তই “কৃষ্ণ” এই বর্ণদ্বয় প্রদত্ত হয়। এইরূপ ব্যাখ্যা নূতন নহে। শ্ৰীমদ্ভাগবতের তৃতীয় অধ্যায়ের তৃতীয় পন্থের ‘প্ৰিয়ঃ সবর্ণেন” এই কথার ব্যাখ্যায় শ্ৰীধর স্বামী লিখিয়াছেন। :--শ্রিয়ঃ রুক্মিণ্যাঃ বৰ্ণৰ্বয়ং বাচকং যন্ত স শ্ৰিয়ঃ সবর্ণে রুক্মী তেন। ‘রুক্মিণী” এই শব্দের नर्मूनবর্ণদ্বয় রুমী শব্দে আছে। সেইরূপ “কৃষ্ণ চৈতন্ত্ৰ” নামেও কৃষ্ণ- এই