পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৬ । শ্ৰীয়ায় রামানন্দ । - ২। সংস্কৃত ভাষায় একটী নিয়ম আছে “একদেশেন সমুদায়োপচারাৎ যথা সত্য-সত্যভামা, ভীমো-ভীমসেনঃ ” এইরূপ কৃষ্ণবর্ণ বলায় এখানে কৃষ্ণচৈতন্যই বুঝিতে হইবে। ৩ । অথবা “কৃষ্ণং বর্ণয়তি-তাদৃশস্বপরমানন্দবিলাসস্মরণোল্লাসবশতয়া স্বয়ং গায়তি, পরমকারুণিকতয়াচ সৰ্ব্বেভ্যোপি লোকোভ্য স্তমুপদিশাতি য স্তম"অর্থাৎ যিনি কৃষ্ণকে বর্ণন করেন,-নিজের পরমানন্দবিলাসস্মরণোল্লাস বশতঃ নিজেই নিজের নাম গান করেন এবং পরম কারুণিক স্বভাব্যবশতঃ সকল লোককেই সেই উপদেশ প্ৰদান করেন । ৪ । অথবা ‘স্বয়ম অকৃষ্ণং (গৌরম) ত্বিষা স্বশোভাবিশেষেণ কৃষ্ণোশদেষ্টারম্ চ যদর্শনেনৈৰ সৰ্ব্বেষাং শ্ৰীকৃষ্ণঃ ক্ষুব্রতীতীর্থ।” অর্থাৎ কলিকালে সুবুদ্ধি ব্যক্তির সেই শ্ৰীগৌরাঙ্গদেবের উপাসনা করেন। যিনি স্বীয় শোভাবিশেষ দ্বারা লোকের চিত্ত আকর্ষণ করিয়া কৃষ্ণোপদেশ প্ৰদান করেন এবং যাহাকে দেখিলেই জীবের শ্ৰীকৃষ্ণ স্মৃত্তি হয় ৫ । “কিংবা সৰ্ব্বলোকদৃষ্টি আকৃষ্ণং গৌরমপি ভক্তবিশেষাদৃষ্টৌ ত্বিষ৷৷ প্ৰকাশবিশেষণ কৃষ্ণবৰ্ণং তাদৃশং হ্যামসুন্দরামেব সন্তমিতার্থ।” অর্থাৎ সকল লোকে যাহাকে আকৃষ্ণরূপ অর্থাৎ গৌরবর্ণ দর্শন করিতেন, ভক্তবিশেষের দৃষ্টিতে প্রকাশ-বিশেষে তিনি শ্যামসুন্দরীরূপে প্ৰতিভাত হইতেন। তঁহাতে সৰ্ব্ব প্রকারে শ্ৰীকৃষ্ণরূপেরই প্ৰকাশ প্ৰতিপন্ন হইতেছে, সুতরাং শ্ৰীগৌরাঙ্গ সর্বতোভাবে শ্ৰীকৃষ্ণবির্ভাববিশেষ, ইহাই বুঝিতে হইবে । শ্ৰীচরিতামৃতকার। এতদবলম্বনে লিখিয়াছেন ঃ “কৃষ্ণ” এই দুই বর্ণ সদা ধার মুখে। অথবা কৃষ্ণকে তেঁহো বর্ণে নিজ মুখে । কৃষ্ণবৰ্ণ শব্দের এই দুইত প্ৰমাণ। • কৃষ্ণবিছু পৃষ্ঠায় মুখে নাহি মাইসে আসি ৷