পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. चैबांब बांगांना १ শ্ৰীকৃষ্ণ যেন বন্দ্রসার মূৰ্ত্তি, কেননা মল্পগণ রৌদ্ররসপ্রিয় বা রৌদ্রয়সেয়া সাধক। জনসাধারণ দেখিলেন শ্ৰীকৃষ্ণ যেন পুরুষশ্ৰেষ্ঠ, কেননা ইহায়া অদ্ভুতরসে মগ্ন হইয়া রঙ্গস্থলে আসিয়াছিলেন। স্ত্রীগণ শৃঙ্গাররসে পরিপ্লাত হুইয়া শ্ৰীকৃষ্ণকে দেখিয়া সাক্ষাৎ কামদেব বলিয়া মনে করিলেন। শ্ৰীদামাদি গোপদের মনে হইল শ্ৰীকৃষ্ণ তঁহাদেরই একজন । বয়স্তোচিত হাস্যরসে আপ্নত হইয়া তাহারা শ্ৰীকৃষ্ণের সেই গাজরক্তাদিশোভিত তৎকালিক মুৰ্ত্তিতে হাস্তের উদ্দীপক ভাৰ দেখিতে পাইলেন। অসৎ রাজারা মনে করিলেন শ্ৰীকৃষ্ণ যেন অসৎদিগের শাস্তা। এখানে বীররসের আবির্ভাব সুচিত হইল । বসুদেব-দেবকীর মনে শ্ৰীকৃষ্ণকে দেখিয়া এই সকল ভাবের কোনও ভাবের উদ্রেক হইল না । দেবকী মনে করিলেন “এই যে অামার কেঁকাচেরা কোলের ধন শ্ৰীকৃষ্ণ এখানে উপস্থিত”1 তাহাকে দেখিয়া তাহার স্তনের দুগ্ধ পুত্ৰ-স্নেহে ক্ষরিত হইতে লাগিল, আর পাছে বা কোমল শিশু-বাছার উপরে বজ্ৰসার মল্পগণ কোন প্রকার দৌরাত্ম্য করে, দেবকীর হৃদয়ে এই আশঙ্কার উদয় হইল। ইহা করুণরসের প্রভাব । দেখুন কি আশ্চৰ্য্য ভাব ! মল্পগণ র্যাহাকে বীজসার ভীষণতম পদার্থ বলিয়া মনে কৰিয়া ভীত হইতেছে, স্নেহময়ী জননী ভঁহাকেই কুসুমকোমল কোলেক্স শিশু মনে করিয়া মল্পগণের মধ্যে র্তাহাকে দেখিতে পাইয়া কত আশঙ্কাই করিতেছেন ; এদিকে ভীত কংসের হৃদয়ে ভয়ানক রস প্রবাহিত। কংস দেখিলেছেন, কৃষ্ণ যেন সাক্ষাৎ মৃত্যুস্বরূপ। নারীগশ্ব র্যাহার মদনমোহন রূপ-সিন্দর্শনে আলিঙ্গন-লাভের জন্য উপান্তদেবতার নিকট শত প্রার্থনা করিতেছেন, কংস তাহাকেই সাক্ষাৎ মৃত্যু বলিয়া ভীত হইতেছেন। আবার অপরদিকে যোগিগণ দেখিতেছেন শ্ৰীকৃষ্ণ সাক্ষাৎ পরব্রহ্মবিগ্ৰহ। কেননা শাস্তিয়সেই ইহাদেৱ সাধনা। বৃঞ্চিগণের নিকট শ্ৰীকৃষ্ণ পরমারাধ্য ঐতিমন্ত্র বিগ্ৰহ বলিয়া প্রতিভাত হইলেন।