পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ । 8○ *می。 দ্বারা পরমপুরুষাৰ্থ প্রেমের সাধন করেন, তাহা করুন, ভালই। কিন্তু সেই অপারপ্রেমাসিন্ধুস্বরূপ শ্ৰীগৌরাঙ্গের ভক্তিরসে যে অতি অদ্ভুত রহস্য আছে, তাহাই আমার নমস্ত । তিনি আরও বলেন :-

  • ঈশং ভজন্তু পুরুষাৰ্থচতুষ্টয়াশা

দাস ভবন্তু চ বিহায় হরেরূপাস্তান। কিঞ্চিৎরহস্যপদলোভিতধীরহন্তু চৈতন্যচন্দ্রচরণং শরণং করোমি ৷ অর্থাৎ যে কোন ব্যক্তি ধৰ্ম্ম অর্থ কাম মোক্ষ এই পুরুষাৰ্থ চতুষ্টয় অভিলাষী হইয়া শ্ৰীকৃষ্ণভজনাই করুন, বা অন্য উপাস্ত পরিত্যাগ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণের একান্ত দাসই হউন, কিন্তু আমি সেই অতি দুর্লভ শ্ৰীচৈতন্যচরণরবিন্দ মকরন্দলুব্ধ হইয়া সেই চরণেরই আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছি। শ্ৰীপাদ প্ৰবোধ্যানন্দ শ্ৰীশ্ৰীগৌরাঙ্গচন্দ্রকে অদ্বিতীয় পরমতত্ত্বরূপে বুঝিয়াছিলেন। তৎপ্রণীত শ্ৰীচৈতন্যচন্দ্ৰামৃত গ্রন্থে শ্ৰীগৌরাঙ্গতত্ত্ব যেরূপ পরিস্ফুর্টররূপে বৰ্ণিত হইয়াছে, অন্যত্র সেরূপ বৰ্ণনাচ্ছিটা প্রকৃতই সুদুল্লভ । শ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দর তাহার প্রত্যক্ষদৃষ্ট উপাসুদেব। তিনি স্বচক্ষে তাহার রূপমাধুরী প্ৰত্যক্ষ করিয়াছিলেন এবং অনুমান ও অনুভব দ্বারা শ্ৰীগৌরাঙ্গের পূর্ণর সতত্বের অনুভব করিয়াছিলেন। শ্ৰীপাদ প্ৰবোধ্যানন্দ স্পষ্টতঃ বুঝিয়াছিলেন, পরমতত্ত্ব শ্ৰীভগবান জগতে যে সকল রূপ প্রকট করিয়াছেন তন্মধ্যে শ্ৰীগৌরাঙ্গরূপই সর্বশ্রেষ্ঠ শ্ৰীগৌরাঙ্গের পরম ঐশ্বৰ্য্য, তাহার অবাধ ঔদার্ঘ্য, তাহার সর্বচিত্তাকর্ষক রূপমাধুৰ্য, আঁহার স্বীয়