পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&)6:bሦ শ্ৰীরায় রামানন্দ মনে করিয়া হাসিলেন যে, রামরায়! তুমি যেরূপ দেখিয়া মনে মনে ঠিক করিয়াছ-উহাই আমার স্বরূপ, উহাও তোমার সম্যকৃজ্ঞানের ফল নহে, এই মুহূৰ্ত্তেই তােমাকে অত্যন্ধুত অনন্তদৃষ্ট নিগৃঢ়প্ৰেমরস-মাধুৰ্যময়ী অভিনব মূৰ্ত্তি সনদর্শন করাইয়া চমৎকৃত করিয়া ফেলিতেছি।” তৎক্ষণাৎ প্ৰভু সেই অনন্যদৃষ্ট অত্যদ্ভুত স্বরূপ প্ৰদৰ্শন করিলেন। রামানন্দ রায় চকিতের ন্যায় এই স্বরূপ দেখিয়া মূচ্ছিত হইলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ অপরাপরের নিকট যে ভাবেই আবিভূতি হউন, কিন্তু শ্ৰীরাম রায় দেখিলেন,--শ্ৰীকৃষ্ণ সাক্ষাৎ রসরাজ-মূৰ্ত্তি। শ্রুতি যাহাকে “রসে বৈ সঃ” বলিয়া জ্ঞান-তৃষ্ণার পরম তৃপ্তি লাভ করেন, র্যাহাকে রস-স্বরূপ জানিয়া ঋষিগণ অপার অনন্ত অসীম আনন্দসাগরে মজ্জিত হইয়া যান, শ্ৰীকৃষ্ণ সেই রসের রাজা। শ্ৰীৰূপগোস্বামী এই জন্য ইহাকে “অখিলরাসামৃতমূৰ্ত্তি” বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। “রসতীতি রসঃ ” যিনি সকলকে সরস করেন। তিনি রস। রস পরমব্ৰহ্মস্বরূপ। শ্রুতি বলেন,- “স্ব এব ব্ৰহ্মরূপে ভর্গোরসঃ তৃণবৃক্ষৌষধাদিষু স্থাবরেষুচ সি এবং রসরূপেণ বসতি ।” সুতরাং রস পরমব্রহ্মস্বরূপ। সাহিত্যদৰ্পণকার বলেন :- সত্ত্বোন্দ্ৰেকান্দখণ্ডস্বপ্ৰেকাশানন্দ চিন্ময়: । বেদ্যান্তরস্পর্শশুন্যে ব্ৰহ্মাস্বাদসহোদরঃ ॥ পরম ব্ৰহ্ম যে রসম্বরূপ সকল শাস্ত্ৰই এই উক্তির সমর্থক। কিন্তু ब्राव निलछे अचब बगिब्रांछन :- শৃঙ্গার রসরাজময় মূৰ্ত্তিধর। । অতএব আত্ম পৰ্যন্ত সৰ্ব্বচিত্তহার। । “রসরাজময়” পদের মন্ত্ৰট, প্রত্যয়ট স্বরূপৰ্থে বুঝিতে হইবে। শ্ৰীভগ