পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। aureau তত্ত্ব-কথা । মহাপ্ৰভু শ্ৰীরাম রায়কে মহাভক্ত বলিয়া জানিয়াও লোকাচার-অনুরোধে “তঁহার আলয়ে গমন করিলেন না, কেননা তিনি বিষয়ী। প্ৰথম অধ্যায়ে বলা হইয়াছে প্ৰভু, একজন ভক্ত ব্ৰাহ্মণের নিমন্ত্রণে তদগুহে পদাৰ্পণ করিয়া ভিক্ষাদি নিৰ্বাহ করিলেন। প্ৰভু ও তীহার প্রিয়ভক্ত উৎকণ্ঠায় দিবামাম অতিবাহিত করেন। রায় রামানন্দ সায়াহে ব্ৰাহ্মণ ভবনে উপস্থিত হইয়া প্রভুর শ্ৰীপদপ্রান্তে লুটাইয়া পড়িলেন। তিনি পরম ভক্ত রামরায়কে আলিঙ্গন করিয়া সাদরে সম্ভাষণ করিলেন। স্থান অতি নিৰ্জন। এই নির্জন স্থানে সাক্ষাৎ জগৎপতির শ্ৰীচরণ-প্ৰান্তে তাহার পরম ভক্ত শ্ৰীরাম রায় দীনভাবে উপবেশন করিলেন। তখন ধৰ্ম্ম কথা আরম্ভ হইল। ধৰ্ম্মের ক্রমবিকাশ সম্বন্ধে এ পৰ্য্যন্ত যত প্ৰকার আন্দোলন আলোচনা হইয়াছে, প্রভুর প্রশ্নে শ্ৰীরামর্যায়ের প্রত্যুত্তরে সেই তত্ত্ব যেরূপ পরিস্ফুট হইয়াছে, জগতের আর কোনও ধৰ্ম্মশাস্ত্রে উহার শতাংশের একাংশও দৃষ্ট হয় না। এতৎ সম্বন্ধে যতই আলোচনা হয়, জগতের পক্ষে ততই মঙ্গল। এই আলোচনা অসীম ও অনন্ত। এস্থলে অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত হইতে দুই একটী কথার উল্লেখ করা যাইতেছে। মহাপ্ৰভু বলিলেন “রাম রায়, তোমার মুখে তত্ত্ব-কথা শুনিব এই আশায় আসিয়াছি, সুধা-নির্ণয় সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ শ্রবণ করিতে ইচ্ছা করি।” পরমপুণ্ডিত শ্ৰীল রামরায় ভক্তিভাবে প্ৰণত হইয়া । তদুত্তরে বলিলেন-প্ৰভো’ স্বধৰ্ম্মাচরণেই বিষ্ণুভক্তিত্ব নিৰ্ণাশ্ৰৰ ধৰ্ম্ম। উদয় হয়। এ বিষয়ে প্রমাণ এই যে -