পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy শ্ৰীয়ায় রামানন্দ । প্ৰাথমিক সাধক সম্বন্ধেই বুঝিতে হইবে। আমরা বিষয়ী। চিন্ময়রাজ্যের কোন তত্ত্বই আমাদের নিকট ক্ষুন্টু নহে। * আমাদের জড়বৎ চিত্তে চিজগতের সত্যরেখার উন্মেষের জন্য সর্বপ্রথমে শাস্ত্ৰনির্দিষ্ট বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম অবশ্যই প্ৰতিপালনীয়। শাস্ত্রাকারগণের বিশ্বাস, অজাতশ্রদ্ধ ব্যক্তির পক্ষে বর্ণশ্রমাচার-পালনে সত্ত্বগুণের বৃদ্ধি হয়, তাহার ফলে চিত্তমালিন্যকর রজস্তমোগুণের হ্রাস হয়, অতঃপরে মহৎসঙ্গে ভক্তির উদয় হয়। শ্ৰীল রাম রায়ের মুখে মহাপ্ৰভু ধৰ্ম্মের সমস্ত তত্ত্ব পরিস্ফুট করিয়া জীবশিক্ষার নিমিত্ত সৰ্ব্বপ্ৰকার অধিকারীর ধৰ্ম্মই যথাযথারূপে অভিব্যক্তি করিয়াছিলেন । শ্ৰীরামরায় যে উত্তর করিলেন, প্ৰভু তাহাতে তৃপ্ত না হইয়া বলিলেন “ইহা ধৰ্ম্মের বাহ সাধন । বৰ্ণাশ্রমাচার সাধ্য নহে,--সাধন, অতি বহিরঙ্গ সাধন । যেহেতু বিষ্ণুভক্তিবিহীনানাং শ্রোতঃ স্মাৰ্ত্তাশ্চ যাঃ ক্রিয়াঃ । কায়ক্লেশফলং তাসাং স্বৈরিণী:ব্যভিচারবৎ ৷ ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণেও লিখিত আছে কলেী কলুষচিত্তানাং বৃথায়ুঃ প্ৰভৃতীনি চ। ভবন্তি বৰ্ণাশ্রমিণাং ন তু মচ্ছরণার্থিনাম৷ সুতরাং কেবল বর্ণাশ্রমাচার,-সাধ্য নহে, ইহার পরে আর কি আছে, বল । réirí, ** বলিলেন, “তাহা হইলে কৃষ্ণে কৰ্ম্মৰ্পণই সাধ্য।” শাস্ত্ৰ এই যেযৎ করোষি যদল্লাসি যজুহােষি দদাসি যৎ । , যত্তপস্যসি কৌন্তেয় তৎকুরুষ মাদর্পণম্ ॥ शैऊा (*२१ ) অর্থাৎ হে কৌন্তেয়, তুমি যাহা করি, যাহা আহার কর, যাহা হবন কর, যাহা দান কর, যে তপস্তা কর তৎসমস্তই আমাকে অর্পণ করিবে ।