পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कौमांश् ब्रांमानन । 8به নিকট অনুমতি ভিক্ষা করিলেন। বৈষ্ণবচিত্তপরীক্ষক মহাপ্ৰভু “তথাস্ত” বলিয়া নীলাচল অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। কিয়দিন পরে শ্ৰীগৌরাঙ্গচন্দ্র আবার সহসা নীলাচলে উদিত হইলেন। নীলাচলের ভক্তগণ দুইবৎসর পরে আবার সেই প্ৰাণের প্রাণ, আত্মার আত্মা, পরম প্ৰিয়তম, প্রেমের সাক্ষাৎ শ্ৰীবিগ্রহকে প্ৰাপ্ত হইয়া দীর্ঘকালের বিরহতাপ এক মুহুর্তে বিশ্বত হইলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গের শুভ প্ৰত্যাগমনে নীলাচল যেন সহসা এক আনন্দময়ী উষার তরুণ-অরুণ-আনন্দকিরণে উদ্ভাসিত হইয়া জাগিয়া উঠিল । শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু পুরুষোত্তমে প্ৰত্যাগত হইলে পুরুষোত্তমবাসী ভক্তগণ তঁহার সন্দৰ্শন-লাভের জন্য ভূষিত চাতকের ন্যায় উৎকণ্ঠিত হইলেন । শ্ৰীল সার্বভৌম ভক্তবৃন্দকে মহাপ্রভুর পরিচিত করিয়া দিলেন। এই সময়ে রামরায় মহাশয়ের পিতা তঁহার অপর চারি পুত্রসহ আসিয়া মতাপ্রভুর শ্ৰীচরণ প্ৰান্তে দণ্ডবৎ প্ৰণত হইয়া পড়িলেন। সার্বভৌম বলিলেন “ইনি শ্ৰীল ভবানন্দ রায়-আপনার প্ৰিয়তম রামর্যায়ের পিতা। আব এই চারিজন ইহার পুত্র। ইহার পাঁচ সহোদর।” রামরায় সৰ্বজ্যেষ্ঠ । ৰূথা শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে হেনকালে আইলা তথা ভবানন্দ রায় । চারি পুত্র সঙ্গে পড়ে মহাপ্ৰভুব্ধ পায় ৷ সাৰ্বভৌম কহে এই রায় ভবানন্দ । ইহার প্রথম পুত্র রায় রামানন্দ ॥ মহাপ্ৰভু শ্ৰীল। সার্বভৌমের মুখে শ্ৰীল ভবানন্দের পরিচয় পাইয়া ষ্ঠানকে আলিঙ্গন করিয়া বলিলেন, ঃ- রামানন্দ হেন রায় পাহার অনয় । ষ্ঠাহান্ন মহিমা লোকে কহিলে না হয়।