পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖©ኰ” দয়ায় রামানন্দ । যদ্যপি ঈশ্বর তুমি পরম স্বতন্ত্র। তথাপি স্বভাৰে হ’ণ্ড প্রেমপরতন্ত্ৰ । পণ্ডিত দামোদরের নিকট প্রভুর বাকচাতুৰ্য্য বিফল হইয়া গেল। কিন্তু শ্ৰীল রামরায় রাজার পক্ষেয় ওকালতী লইয়া প্ৰভুয় সমক্ষে উপস্থিত হইয়াছেন, কাৰ্য্যসিদ্ধিই তাহার প্রধান লক্ষ্য। রামরায় ধীরে ধীরে বলিলেন, “প্ৰভো আপনি সাক্ষাৎ শ্ৰীভগবান, আপনার আবার একটা विधिनित्यश् उम्र कि " কিন্তু তিনি রামর্যায়ের উক্তি অস্বীকার করিয়া বলিলেন “রামানন্দ, আমি মনুষ্য, তাহাতে আবার সন্ন্যাসী । আমি লোকব্যবহারের অন্যথা করিতে পারি না । সন্ন্যাসীর অল্প দোষ দেখিতে পাইলে লোকে তাহার অপবাদ করে । মলিন বস্ত্রে মসীয় দাগ থাকিলে উহা লোকের চক্ষে পড়ে না, কিন্তু শুক্লাবস্ত্রে একবিন্দু কালী পড়িলেই উহা সুস্পষ্ট দৃষ্ট হয়। গৃহস্থাশ্রমে সময়ে সময়ে বিধিনিষেধেয় বাধা পঢ়িলেও তা হাতে বড় অপবশ হয় না। কিন্তু আমি সন্ন্যাসী, আমার ব্যবহারে একটুকু ক্ৰটী হইলেই লোকে অপযশ করিবে। তদযথা :- প্ৰভু কহে আমি মনুষ্য আশ্রমে সন্ন্যাসী । LLBDDD DBBBLD DD BB সন্ন্যাসীর অল্প ছিদ্র সর্বলোকে গায় । শুক্লাবস্ত্রে মসীবিন্দু যৈছে না লুকায় ॥ লোকধাৰ্ম্মেয় মৰ্যাদা রক্ষার নিমিত্ত শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর এইরূপ উপদেশ সৰ্ব্বত্রই অতি পরিস্ফুট । রামরায়কে প্ৰভু ইচ্ছা করিয়া স্বীয় স্বরূপ দেখাইয়াছেন, স্বীয় শ্ৰীমুখে অহা প্ৰকাশ করিয়াও বলিয়াছেন। কিন্তু এখানে আবার সেই জামদায়ের নিকটেই বলিতেছেন “আমি মনুষ্য, সন্ন্যাল আমার আশ্ৰম । আমি আশ্রমবিরুদ্ধ কাৰ্য্য কৰিলে লোকে কি বুলিবে ।" । মূলতঃ এখানে প্রচু শাস্বাক্য ও লোকব্যবহারের মৰ্যাদা-মংরক্ষণ ।