করিলেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গ সর্বধৰ্ম্মের প্রমাণস্বরূপ, এবং সর্বধর্মের রক্ষক। তিনি স্বতন্ত্র হইলেও যখন মানবদেহ গ্ৰহণ করিয়াছেন, সন্ন্যাস আশ্রম পবিত্র করিয়াছেন, এমত অবস্থায় প্রিয়তম ভক্তগণের অনুরোবেও জনসমাজের লৌকিক আচার ও সন্ন্যাসধৰ্ম্মেয় বিধিভঙ্গে বা ভাবছেলনে স্বীকৃত হইলেন না । কিন্তু শ্ৰীল রামরায় পরমকারুক্মণক, কৃতজ্ঞহৃদয় ও পরামকর্তব্যতাপরায়ণ ৷ প্ৰভু যতই আপত্তি করুন না কেন, তঁহার আপত্তি ভাঙ্গিয়া ...রাজাকে তঁহার শ্ৰীচরণপঙ্কজ দেখাইতে হইবে ইহাই রামানদের মনেয়। दामन्मा । তাই রামানন্দ আবার বলিলেন “আপনি কত পাপীর উদ্ধায় সাধন করিয়াছেন, গজপতি আপনার ভক্ত রাজা, তাহাকে উদ্ধার করিবেন না ? সকলে উদ্ধারা পাইলেন আর প্রতাপরুদ্র কি পড়িয়া থাকিবেন ? তিনি প্রকৃতই ভক্ত, আপনার শ্ৰীচরণ দর্শন করিতে, না পারিলে তিনি রাজ্যত্যাগ করিয়া ভিখারী হইবেন, এমন কি ? প্ৰাণত্যাগ করিতে প্ৰস্তুত । এমন একান্তভক্ত শ্ৰীচরণ-দর্শন না । পাইবেন কেন ?” মহাপ্রভুর হৃদয় আরও দ্রবীভূত হইল। শ্ৰীল রাম রায়ের উ কেবল বাহ অনুরোধ নহে, উহা যেন প্রাণের অন্তস্তল-নিহিত মহাশক্তির - যেন শিথিল হইয়া উঠিল। তিনি তখন আর কোন যুক্তি দেখিতে না পাইয়া কেবল লোকব্যবহারের কথা তুলিয়া বলিলেন, “রামরায় কি ? «r O ۔ ******" ܕ ܪ 'ft ዖ ናኟ r , ,
পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।