পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So a वैद्धांब ब्रांमानक। লিখিত আছে “আত্মা বৈ জায়তে, পুত্ৰঃ,”। তাহার পুত্র আমার দর্শন পাইলেই তিনি আমার দর্শন পাইলেন বলিয়া যেন মনে করেন। যথা শ্ৰীচরিতামৃতে :- ? প্ৰভু কহে পূৰ্ণ যৈছে দুগ্ধের কলাস । সুরাবিন্দু স্পর্শে কেহ না করে। পরশ ৷ যদ্যপি প্রতাপরুদ্র সর্ব গুণবান। তাহারে মলিন করে এক “রাজা” নাম ৷ তথাপি তোমার যদি মহাগ্ৰহ হয় । তবে আনি মিলাহ মোরে তঁাহার তনয় ৷ “আত্মা বৈ জায়তে পুত্রঃ” এই শাস্ত্ৰবাণী । পুত্রের মিলনে যেন মিলিলা আপনি ৷ ইহার পরে শ্ৰীল রামানন্দ আর কোন আপত্তি করা প্ৰয়োজনীয় বলিয়া মনে করিলেন না । রামরায় এই প্ৰস্তাবে সন্মত হইয়া রাজার নিকট গেলেন এবং এই সকল কথা রাজাকে বলিলেন। রাজা বলিলেন “তঁহার যাহা আজ্ঞা, তাহ অবশ্যই পালনীয়। তিনি যেরূপে আমার প্ৰতি অনুগ্ৰহ করিতে ইচ্ছুক, তাহাই করিবেন, এ বিষয়ে আমার আর অধিক কথা কি হইতে পারে ?” রাজা তখন স্বীয় পুত্রকে শ্ৰীল রামর্যায়ের হন্তে অৰ্পণ করিয়া মনে মনে ভাবিতে লাগিলেন “আজ আমি পুত্ৰ হইতে শ্ৰীভগবৎকৃপালাভ করিব, সৌভাগ্যক্রমে শ্ৰীভগবান আমায় এহেন রন্ধ দান করিয়াছিলেন তাই সাক্ষাৎ সম্বন্ধে না হউক, গৌণভাবেও আমি শ্ৰীভগবৎকৃপা প্রাপ্ত হইলাম। হায় আমার এই বিষময় বিষয় শ্ৰীগৌরাঙ্গ ভগ্নবানকে দর্শন করার পরিপন্থী হইয়া দাড়াইল। আজ যদি আমি রাজা না হইয়া-ভিখারী, হাইতাম তাহাও আমার পক্ষে শতগুণে শ্ৰেয় ছিল |” ।