পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২

So শ্ৰীয়ায় রামানন্দ । বহিরঙ্গ বলিয়া উপেক্ষা করিলেন। তখন তিনি বলিলেন “প্ৰভো বৰ্ণাশ্রমধৰ্ম্ম দুই প্রকার-এক সকাম, অপর নিষ্কাম। সকাম অপেক্ষা নিষ্কাম শ্রেষ্ঠতর। কিন্তু আপনি এই দুইটাই বাহ বলিয়া উপদেশ করিলেন। আমার মনে হয় তবে বুঝি স্বধৰ্ম্মত্যাগই সাধ্যতত্ত্বের সার। যথা-শ্ৰীমদ্ভগবদগীতায় শ্ৰীকৃষ্ণ অৰ্জ্জুনকে বলিতেছেন :- সৰ্বধৰ্ম্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ। অহং ত্বাং সৰ্ব্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ: | åद्ध*दर्शिौऊ ••॥७७ ভক্তিশাস্ত্ৰে ইহাই শরণাপত্তি (৫) নামে অভিহিত । কৰ্ম্মমিশ্র ভক্তি আরোপসিদ্ধা। শরণাপত্তি কৰ্ম্মমিশ্র না হইলেও দুঃখপ্রতিষেধবাসনামুলা । প্ৰভু বলিলেন, ইহাও বাহা ; ইহার পরে আর কি, বল । শ্ৰীল রামরায় বলিলেন, প্ৰভো তাহা হইলে জ্ঞান মিশ্ৰ ভক্তিই সাধ্য বলিয়া কীৰ্ত্তিত হউক। কেননা জ্ঞানিভক্তের আত্মা প্ৰসন্ন, তাহার সুখ দুঃখ নাই। শ্ৰীগীত বলেন :- ব্ৰহ্মভুত: প্ৰসন্নাত্মা ন শোচতি ন কাজক্ষতি। সমঃ সৰ্ব্বেষু ভূতেষু মদ্ভক্তিং লভতে পরাম ৷ SY? 8 এতদ্বারা ব্ৰহ্মজ্ঞানের সাধ্যত্ব কথিত হইল, কিন্তু প্ৰভু ব্ৰহ্মজ্ঞানকেও সাধ্য মনে করিঙ্গেন না । প্ৰভু বলিলেন ইহা সঙ্গসিদ্ধা ভক্তি বটে। কিন্তু ইহা সাধ্য নহে। ইহাতে আমি সন্তুষ্ট হইতে পারিলাম না । ইহার পর আর কি আছে তাঁহাই বল। প্ৰভু যখন শরণাপত্তি শুন্ধান্তৰ্ভুক্তি (৭) শরণাপত্তির লক্ষণসম্বন্ধে বৈষ্ণবতন্ত্রে এইরূপ লিখিত আছে - আনুকুল্যস্য সঙ্কল্পঃ প্ৰতিকুল্যবিবর্জনািদ৷ ) রক্ষিষ্যতীতি বিশ্বাসে গোপ্তত্বে বন্ধঃ তথা । লাত্মনিক্ষেপ কাৰ্পণ্য বড়বন্ধ শরণার্থঠি: ,