পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২০

808 औझांश ब्रागॉनन র্তারে বিনা এই রাজ্য মোর নাহি ভায় । গোসাঞী রাখিতে দোহো করিাহ উপায় ৷ ইহারা উভয়েই এ বিষয়ে পূৰ্ব্ব হইতে চেষ্টা করিতেছিলেন, তাহার উপর আবার রাজার অনুনয়। মহাপ্ৰভু শ্ৰীবৃন্দাবনে যাইতে কৃতসঙ্কল্প হইতেছেন, তঁহাকে বাধা দেওয়া অসম্ভব। কিন্তু ইহার একটী নীতি অবলম্বন করিলেন ; প্ৰভুর সঙ্কল্পে বাধা না দিয়া মধ্যে মধ্যে এক একবার গমনের দিন-সম্বন্ধে এক একটা আপত্তি উত্থাপন করিতে লাগিলেন । মহাপ্ৰভু জ্যৈষ্ঠ মাসে শ্ৰীবৃন্দাবনে যাইতে উদ্যত হইলেন, রামরায় ও সার্বভৌম তাহার শ্ৰীচরণ সমীপে আসিয়া বলিতে লাগিলেন, “তুমি বৃন্দাবনে যাইবে, তাহাতে কে তোমায় বাধা দিবে ? আর বাধা দিলেই তুমি তাহাতে বাধ্য হইবে কেন ? আমরা এখন সেরূপ বাধা দিতে আসি নাই। আমরা বলি, এইত রথযাত্ৰা আসিয়া পড়িয়াছে, এখন তুমি এখানে না থাকিলে আমাদের মনে কষ্ট হইবে, রথযাত্রা দেখিয়া তারপরে যাইও, আমরা আর আপত্তি করিব না ।” প্ৰভু তাহাতে সম্মত হইলেন। রথযাত্ৰা চলিয়া গেল, তিনি আবার গমনোপ্তত হইলেন। সার্বভৌম ও রামরায় আবার তঁহার কথায় সায় দিয়া বলিলেন, “যাবে বই কি, আমরা কি আর তোমায় ধরিয়া রাখিতে পারিবর্তিৰে এখন অত্যন্ত বৃষ্টি বাদল। তোমার তো কিছুতেই ক্লেশ নাই, কিন্তু আমাদের মনে অত্যন্ত ক্লেশ হইবে। আমাদের সততই মনে হইবে । বন জঙ্গলের পথে তুমি কোথায় ভিজিতেছি, কোথায় কত কষ্ট পাইতেছ। বৃষ্টি বাদলের দিন যাউক, কাৰ্ত্তিকমাসে যাইও ।” শ্ৰীগৌরাঙ্গ নৌনাবলম্বন করিলেন । আষাঢ় শ্রাবণ ভাদ্রমাস চলিয়া গেল, কাৰ্ত্তিকমাসে প্ৰভু বলিলেন “তৰে এখন বিদায় দাও,” ইহারা করষোড়ে বলিতে লাগিলেন, “তোমাকে বিদায় দেওয়া অসম্ভব। এই তি শীতকাল উপস্থিত হইল, উত্তর ং পশ্চিমাঞ্চলে ভয়ানক শীত, তুমি ভীষণু শীতে নগ্ন দেহে কৰে বনে বেড়াইকে