পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৪

8 ao चैबांब्र ब्रांमांन् । বিন্দ-মকরন্দলুব্ধ ভক্তমধুপগণও সেই প্রকার গমনশীল শ্ৰীগৌরাঙ্গের পদযুগলাভিমুখে ধাবিত হইতে লাগিলেন। মহাপ্ৰভু শ্ৰীনীলাচলচন্দ্রের শ্ৰীমন্দির প্ৰদক্ষিণ করিতে করিতে স্তব পাঠ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন, আর তৃষিত চকোরের ন্যায় তাহার শ্ৰীমুখচন্দ্ৰ নিৰীক্ষণ করিতে লাগিলেন। প্ৰদক্ষিণের পর দীর্ঘকাল মহাপ্ৰভু নির্নিমেষলোচনে জগন্নাথদেবের মুখপঙ্কজঅভিমুখে তদগতভাবে চাহিয়া চাহিয়া যেন কত কথা বলিলেন, তঁাহার নেত্রযুগল হইতে বিন্দুবিন্দু অশ্রু মণিমুক্তার মোহনমালার ন্যায় বক্ষ বাহিয়া গড়াইয়া পড়িল । তিনি সাষ্টাঙ্গে প্ৰণত হইলেন, নীলাচলচন্দ্রের নিকট বিদায় গ্ৰহণ করিলেন, জননীর নিমিত্ত প্ৰসাদী ৰাস্ত্ৰ লইয়া শ্ৰীধাম হইতে গৌড় দেশ অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন। যথা শ্ৰীচৈতন্তচন্ধিड्भुंठ :- আনন্দে মহাপ্ৰভু বর্ষা কৈলা সমাধান । বিজয় দশমী দিনে করিলা পয়ান ॥} জগন্নাথের প্রসাদ প্ৰভু যত পাইয়াছিল । কড়ার চন্দন ডোর সব সঙ্গে লইল । জগন্নাথের আজ্ঞা মাগি প্ৰভাতে চলিলা । উড়িয়াভক্তগণ সবে পাছে চলি আইলা ॥ ভক্তিগণের হৃদয় অনুদিন শ্ৰীভগবানের প্রতি আকৃষ্ট। প্রিয় পাঠক, আপনি ব্ৰজগোপীদের প্ৰেমাকর্ষণের কথা শুনিয়াছেন। গোপীগণ বঁাশীর জৰে শ্ৰীকৃষ্ণের জন্য উন্মাদিনী হইয় নিবিড় বনে গমন করিতেন। কুলশীল-বিপদাপদের কথা মনে রাখিতেন না। বাশারীর মোহন মধুর বিনোদহবানে তঁহাদের চিত্ত আকৃষ্ট ও আকুল হইত। কিন্তু শুষ্ঠামের বঁাশী নাt বাজিলেও গোপিকাকুল আকুল হইয়া কৃষ্ণের অনুসরণ করিতেছেন, শ্ৰীবৃন্দাবনে প্রেমলীলার এরূপ , ঘটনা অধিক দেখিত্ত্বে পাওয়া যায় না। ॥ ফুল, মান, লজ্জা ও রমণী-স্বভাবস্থলভ্রশীলতার arratah.