পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可怀州外fā甘 8 on হিনী নিঝরিণীর ন্যায় প্রচাপে রাখিয়া দিত। শত শত পাষাণ-বাধার অন্তরাল দিয়া ব্ৰজপ্ৰেম প্রবাহিত হইত। কিন্তু অত্যুদার শ্ৰীগৌরাঙ্গলীলায় সেই প্ৰকার বাধাবিঘ্ন কিছুই ছিল না। সুতরাং শ্ৰীগৌরাঙ্গভক্তগণ কোন দিকে ক্ৰক্ষেপ না করিয়া প্রভুর পদানুসরণে প্ৰবৃত্ত হইতেন। শ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দর শ্ৰীবৃন্দাবনদর্শনার্থ যাত্ৰা করিলেন, আর ভক্তগণ ব্যাকুল হইয়া তাহার অনুগমন করিলেন। এই সম্বন্ধে অমর কবি শ্ৰীল কবিকর্ণপুর শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতমহাকাব্যে একাক্ষরময় একটী অদ্ভুত শ্লোক রচনা করিয়াছেন, যথা :- “লালক্রীলো ললাষ্ট্রীলো লোলো লোলো ললাললঃ । লীলালোলোহলিলীলালীং লীলালীং লোললাং লিলুঃ ॥ অর্থাৎ মহাপ্ৰভু নীলাচল-লীলা পরিহার করিয়া ব্ৰজগমনরূপ লীলায় । প্ৰবৃত্ত হওয়ার জন্য চঞ্চল ও আকুল হইলেন এবং সমস্ত ভক্তগণকে পরিাত্যাগ করিয়া বৃন্দাবনে যাত্ৰা করিলেন। এদিকে মধুলুব্ধ ভ্ৰমরগণের ন্যায় । ভক্তগণও সেই চঞ্চলমনা গৌরচন্দ্ৰকে ধরিবার জন্য ব্যাকুলভাবে তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিতে লাগিলেন। ইহার তাৎপৰ্য্য এই যে ভ্রমরগণ । যেমন বায়ুচালিত পদ্ম হইতে বিক্ষিপ্ত হইয়াও পুনঃ পুনঃ উহাতে বসিতে চেষ্টা পায়, প্রভুর পদানুরক্ত ভক্তগণও তদ্রুপ গমনচঞ্চল প্রভুর পাদপদ্মের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া গমন করিতে লাগিলেন। কিন্তু প্ৰভু কাহাকেও সঙ্গে লইলেন না। তিনি একাকী শ্ৰীবৃন্দাবন যাইবেন বলিয়া দৃঢ়প্ৰতিজ্ঞ হইয়াছেন। সুতরাং সকলকেই অনুগমন করিতে নিষেধ করিলেন । যথা । শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে :- , . “উড়িয়া ভক্তগণে প্ৰভু যিয়ে নিবারিলা ৷ ‘ · তদস্থ শ্ৰীচৈতুষ্ট চরিতামৃত মহাকাব্যে - ,