পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাদশ পরিচ্ছেদ । ৪১১ করেন নাই। রাজা তখনও পূর্ণরূপে মহাপ্রভুর প্রেমপত্র হন নাই। তিনি জানিতেন। রাময়ায়ের দ্বারাই তেঁাহার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে এবং ষে পৰ্যন্ত তাহার অভীষ্ট সিদ্ধ না হয়, তাবৎকাল পৰ্য্যন্ত রামরায়কে ছাড়িয়া দেওয়া যুক্তিসিদ্ধ নহে। মহাপ্ৰভু যখন ভবানীপুরে পৌছিলেন, রামরায় কটক হইতে তখন সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, পরদিবস মহাপ্ৰভু ভুবনেশ্বীয় অভিমুখে যাত্ৰা করিলেন । রামরায় প্রভুর সঙ্গে সঙ্গে চলিলেন। প্ৰভু রসকোন্দল করিতে করিতে বলিলেন “রামরায়, তুমি আমার সঙ্গে কেন ? কটকে যাও,” এই বলিয়া প্ৰভু ফিরিয়া দাড়াইলেন,-দাড়াইয়া বলিলেন “তুমি আমার সঙ্গে গেলে আমি যাইব না ।” রামরায় বলিলেন, “প্রভো, ভূত্যকে ত্যাগ করিবেন না । আমি আপনার দাসানুদাস, সকল অপরাধ ক্ষমা করিয়া আমাকে সঙ্গে লিউন ৷” প্ৰভু হাসিয়া বলিলেন,-“চল তবে” । রামরায় প্রভুর বিরহ ক্ষণকালও সহিতে অসমর্থ। সুতরাং তিনি । বক্তৃক্ষণ পারেন তাহার সঙ্গে সঙ্গে থাকিবেন, এই মনস্থ করিলেন। ফলতঃ প্ৰভু যখন তঁহাকে ত্যাগ করিয়া শ্ৰীবৃন্দাৰনে গিয়াছিলেন, তখন তাহার বিরহ প্রকৃতই দুঃসহ হইয়া উঠিয়াছিল। এ সম্বন্ধে শ্ৰীল কৰি- , কর্ণপুর লিখিয়াছেন :- “কিয়দ রং ততো গত্বা বিররাম মহাপ্ৰভুঃ। শ্ৰীয়ামানন্দরায়েন প্ৰণয়ম্বন্দ্ববাস্মিথ ৷ স ত্যক্ত গচ্ছতা তেন প্ৰভুনানুনৱৈবছ। : তপিতোহপি নব্বৈ তৃপ্তিং জগমে ক্ষণমপুত ।