পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । 8 তলদেশে গোলাকার প্রস্তর বেদিক । ভোজনান্তে প্ৰভু তাহাতে উপবিষ্ট হইলেন, আর চারিদিকে ভক্তগণ র্তাহাকে ঘেরিয়া বসিলেন। এদিকে মন্ত্রিশ্ৰেষ্ঠ রামরায় রাজার নিকটে উপস্থিত হইয়া বলিলেন “রাজন, মহাপ্ৰভু সমাগত, এক্ষণে ভোজনান্তে এ অধমের বহিরুদ্যানে বকুল-বেদিকায় উপবিষ্ট । আমি মনে করি তঁহার শ্ৰীচরণ সন্দর্শনের এখনই উপযুক্ত সময়। প্রতাপরুদ্র আর ক্ষণমাত্র বিলম্ব করিলেননা। শ্যামচাদের বঁাশীর রবে বিবশী ব্ৰজবালার ন্যায় আকুল হইয়া তিনি শ্ৰীগৌরাঙ্গচরণ-দর্শনের জন্য রামর্যায়ের উদ্যানাভিমুখে ধাবিত হইলেন। উপস্থিত হইয়া দেখিতে পাইলেন, বকুলমূলে নটাবর রসিকশেখর শ্ৰীগৌরাঙ্গসুন্দর যেন মূৰ্ত্তিমান রসের দেবতারূপে বিরাজ করিতেছেন। সে রূপলাবণ্যমাধুরী দেখিয়া প্ৰতাপরুদ্র বিস্মিত ও বিহবল হইয়া পড়িলেন। তঁহাৰ সৰ্ব্বাঙ্গ। কঁাপিতে লাগিল। প্রেমের বৈদ্যুতিক শক্তি র্তাহার সর্বাঙ্গে পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়িল । তিনি অবশ হইয়া কঁাপিতে কঁাপিতে মহাপ্রভুর শ্ৰীচৰণ তলে পতিত হইলেন। আব্ব তৎক্ষণাৎ আবিষ্ট্রের ন্যায় উখিত হইলেন, আবার দণ্ডবৎ প্ৰণত হইয়া পড়িলেন। প্ৰতাপরুদ্র প্ৰেমবিহবল ভাবে এইরূপ বহুবার উখিত ও প্ৰণত হইয়া মহাপ্রভুর স্তব করিতে লাগিলেন। তঁহার দেহ প্রেমে পুলকাঞ্চিত হইয়া উঠিল। প্ৰেমাশ্রিীতে বক্ষ পরিপ্লত হইল। প্রতাপরুদ্র অচেতন ভাবে প্রভুর পাদমূলে আবার দণ্ডব্যুৎ প্ৰণত হইয়া পড়িলেন। মহাপ্ৰভু এবার আর স্থির থাকিতে পারিলেন না । ভক্তের ভগবান ভক্তের আৰ্ত্তি দেখিয়া দয়াদ্র হইলেন । যে প্ৰতাপরুদ্র তঁহাকে দর্শন করিতে চাহিলে তিনি “আকারাদপি ভেতব্যং শ্ৰীণাং বিষয়িনামপি” এই শ্লোক বলিয়া অমত প্ৰকাশ করিতেন, আজ সেই প্রতাপরুদ্রকে তিনি গ্ৰীতিময় আলিঙ্গন প্ৰদানপূর্বক কৃতাৰ্থ কলিলেন। প্রভুর নয়নযুগল হইতে দীরবিগলিত অশ্রদ্ধারা প্রবাহিত হইতে SB S BB BBBB BBLBDBiB BLBLBLBDD DBBB uBBB DB Jak