পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ। 毫 পুনৰ্ম্মিলন। শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভূর বিরহে পুরুষোত্তমক্ষেত্রের ভক্তগণের যাতনা বর্ণনাতীত । শ্ৰীণ রামরায় এই মহাবিরূহে একবারেই মৃতপ্ৰায় হইয়াছিলেন । এষ্ট সময়ে তিনি প্রোষিত-ভর্তৃিকার মত নীরবে নির্জনে সময় কৰ্ত্তন করিতেন, উৎসবাদিতে যোগ দিতেন না, লোকসমাজে বাহিব হইতেন না, কেহ তাহাকে দেখতে পাইতেন না । যিনি গজপতি প্ৰতাপরুদ্রদেবেব বিস্তুনগরের শাসনকৰ্ত্তা, যিনি উক্ত অঞ্চলে গবৰ্ণর-জেনােরলের ন্যায় সম্মানিত, সহসা সেই তেজোদৃপ্ত রাজপুরুষের এইরূপ নিৰ্ব্বেদে জনসাধারণ তঁহার অস্তিত্বেই সন্দিহান হইয়া উঠিলেন । ফলতঃ শ্ৰীল রামানন্দ রায় এই মহাবিরহে জীবন্ম তবৎ হইয়া রছিলেন। শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু শ্ৰীবৃন্দাবনযাম হইতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিয়া পুরুষোত্তমক্ষেত্ৰে শুভাগমন করিলেন । এই সংবাদ পাষ্টয়া নীলাচলবাসী ভক্তবুন্দের নিম্প্রাণ হৃদয় সহসা সঙ্গীবিত হইয়া উঠিল। মহাপ্ৰভু নরেন্দ্র-সরোবরের তীরে আসিয়া বসিলেন, ভক্তগণ এইখানে তাহার সহিত সন্মিলিত হইলেন, কথা শ্ৰীচরিতামৃতে - আঠার শালাতে আসি ভট্টাচাৰ্য্যের ব্রাহ্মণে । পঠাইয়া বোলাইলা বিক্ষ ক্ষত্ৰিগণে ৷ গুনিয়া সকল ভক্ত পুনয়পি জীল । দেহে গুণ আইলো যৈছে ইন্দ্ৰিয়া উঠিলা ॥ আনন্দে বিহ্বল ভক্ত ধাইয়া আইল । নজেদে আদিয়া সনে প্ৰভুয়ে মিশিগঞ্জ