পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

839R शैक्रां ब्रांभांनर्माण । সত্ত্বেও তিনি কিৎক্ষণ নীরব রছিলেন। প্ৰভু বলিলেন,--শ্ৰীৰূপ আমি বলিতেছি, তুমি সেই শ্লোকটী একবার পাঠ করা। শ্রীরূপ তখন পড়িতে লাগিলেন :- 雕 তুণ্ডে তাণ্ডবিনী রতিং বিতনুতে তুণ্ডাবলীলান্ধীয়ে কর্ণােক্রাড়কড়ম্বিনী ঘটয়তে কৰ্ণাৰ্বদেভ্যঃ স্পৃহাম্। চেতঃপ্ৰাঙ্গণসঙ্গিনী বিজয়তে সৰ্বেন্দ্ৰিয়ানাং কৃতিং নো জানে জনিতা কিয়ন্তিরমূতৈঃ কৃষ্ণেতিবর্ণদ্বয়ী ৷ এই পঙ্গটা বিদগ্ধমাধব নাটকের প্রথম অঙ্কে পৌর্ণমাসীর উক্তি। নাদীমুখী পৌর্ণমাসীকে বলিলেন “ভগবতি, শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি শ্রীরাধার অনুরাগ অতীব বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছে। পৌর্ণমাসী বলিলেন ; “কি প্রকারে বুঝিলে ?” নন্দীমুখী বলিলেন, যখন কথা প্রসঙ্গে শ্রীরাধা “কৃষ্ণ” এই নাম ' শ্ৰবণ করেন, তখন রোমাঞ্চিত হয়েন এবং তঁাহার কি জানি-কেমন এক ভাবের উদয় হয়। পৌর্ণমাসী প্ৰত্যুত্তরে বলিলেন, “ঠিক কথা, কৃষ্ণ-নামের এমনই মহাত্ম্য বটে।” এই বলিয়া পৌর্ণমাসী উক্ত পদ্য পাঠ করিলেন । উহার অর্থ এই যে,-“কৃষ্ণ” এই বর্ণদ্বয়ী যদি মুখরূপ রঙ্গভূমিতে নটীর ন্যায় অণ্ডবে নৃত্য করিবার সুবিধা পান, তখন কোটি কোটি বদনে কৃষ্ণনাম করার জন্য ইচ্ছার উদ্রেক করিয়া তোলেন। একমুখে কৃষ্ণনাম করিয়া তৃপ্তি জন্মে না, কৃষ্ণনাম করিবার জন্য শত শত মুখ-প্ৰাপ্তির বাসনা হয়। এই বৰ্ণজয় কর্ণযুগলে অকুরিত হইলে কোটি কোটি কর্ণলাভের স্পৃহা জন্মে। ইহা চিত্তের প্রাঙ্গণে আবির্ভূত হইলে ইন্দ্ৰিয় ব্যাপার বিজিত হইয়া পড়ে, অর্থাৎ সমগ্ৰ ইঙ্গিয় বিশেষরূপে নামাকৃষ্ট হয়, উহাদের বহিঙ্গুর্থীক্রিয়া নিরন্ত হয়। নাদীমুখি “কৃষ্ণ” এই বর্ণদ্বয়ী যে কত অমৃতমার্শিতে নিৰ্ম্মিত, তাহা বলিতে পারি না।” । “শ্ৰীমদ যদুনন্দন দাস এই শ্লোকের ৰে পদ্মাম্বুবাদ করিয়াছেন, নেই। স্থা বন্ধগঙ্গানুবাদও এখানে উদ্ভূক্ত করা যাইতেছে, যথা -- , . . .