পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

889 Šीहiछ झबिाअन ! প্ৰেম, কোথাও বা নিরপেক্ষ প্ৰেম নামে অভিহিত হয়। কেননা দোষগুণদর্শনে এই প্রেমের ক্ষয় বৃদ্ধি হয় না। ইহার উদাহরণ দেওয়া যাই-” তেছে। মধুমঙ্গল পৌর্ণমাসীদেবীর নিকট জিজ্ঞাসা করেন, “দেবি নিরভিসন্ধি প্ৰেম কেমন ?” তদুত্তরে পৌর্ণমাসীদেবী বলেন :- [ জগতি কিল বিচিত্রে কুত্ৰচিগ্নিশ্চলাত্মা ভবতি নিরভিসন্ধিঃ কস্যচিৎ প্ৰেমবন্ধঃ । বিলসতি সমুদীৰ্ণে কুম্ভজে খঞ্জনালী কলিতৰতি তথাস্ত্যং হন্ত নাশং প্ৰব্যাতি ॥ অর্থাৎ “এই বিচিত্র জগতে স্থলবিশেষে কাহারও কাহারও অভিসন্ধিবিরহিত নিশ্চল প্ৰেম পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। দেখুন। অগস্ত্য উদয় হইলে খঞ্জন পক্ষী সকল আনন্দে সৰ্ব্বত্র বিরাজ করে, কিন্তু হায় অগস্ত্য অন্ত হইলে সেই সকল খঞ্জন পক্ষীকে আর দেখা যায় না।” অভিসন্ধি-শুন্য প্রেমের ইহাও একটা দৃষ্টান্ত স্থল। ফলতঃ ইহাই সহজ প্ৰেম । দেহের প্রতি আমাদের যে প্রীতি আছে সেই প্রেমের কোন হেতু বা অভিসন্ধি নাই, জন্মমাত্রেই আমাদের আত্মদেহের প্রতি প্রেমের ভাব পরিলক্ষিত হয় । অতি শৈশব সময় হইতেই এই প্ৰেম পরিলক্ষিত হইতে থাকে। ইহাতে বলা যাইতে পারে যে জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যখন এই প্রেম উপজাত হয়, এই অবস্থায় ইহাই সহজ প্রেম। এই প্রেম হইতেই জীবন-যোনি-যন্ধু উদ্ভূত হইয়া থাকে। শাৰীৱ ক্রিয়াতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতগণ এই জীবন-যোনি-যত্নকে “ব্রিফলের AFTAR” (Reflex action) 2TRS *Fi* Viri crito rritori Isfars চেষ্টা কল্প না কেন অথবা বৈশেষিক দার্শনিক সম্প্রদায়ের পণ্ডিতগণ । জীবন-দোনি-বিদ্রের হেতু সম্বন্ধে বাহাই বলুন না কেন, আমাদের মনে হয়, এই জীবন-বোলি-যুদ্ধের মূল কারণ দেহের প্রতি জীবাত্মার সহজ শ্ৰেম । , শিক্ষা-দৃষ্টি হইয়াই রোদান করে কেন? কেননী মাতৃগর্কে লেৰে