পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

seR শ্ৰী রায় রামানন্দ । শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু বিস্মিতভাবে বলিলেন, “রামরায়, ইহাতেও তোমারু উল্লাস হইতেছে ? এরূপ কথা শুনিতেও লজ্জাজনক, লোকেও ইহাতে উপহাস করিবে ।” শ্ৰীল রায় মহাশয় বলিলেন, “ইহাতে উপহাস করা ত দূরের কথা, মঙ্গলাচরণে অভীষ্টদেবের এই স্তুতি শুনিয়া সকলেই সন্তুষ্ট হইবেন। ইহাতে লজ্জারই বা কারণ কি, উপহাসেরই বা হেতু কি ?” শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু নীরব রহিলেন। শ্ৰীৰূপের মুখমণ্ডলে ঈষৎ আনন্দের রেখা দেখা দিল । শ্ৰীল রামরায় এই নাটক সম্বন্ধে বহুপ্ৰশ্ন উত্থাপন করিয়া উদাহরণ শ্লোকগুলি প্ৰগাঢ় মনোযোগের সহিত শ্রবণ করিলেন । শ্ৰীল রামরায় এই পদ্যগুলি শ্রবণে বিস্মিত হইলেন । তিনি নিজে অতি সুপণ্ডিত, কেবত্ব সুপণ্ডিত নহেন,-তিনি তৎসময়ে একজন সুবিখ্যাত সুকবি বলিয়াই জনসমাজে পরিচিত ছিলেন । ইহার উপরে শ্ৰী রাধাকৃষ্ণের প্রেমভক্তিরসে তাহার চিত্ত সততই পরিপ্লােত থাকিত। কয়েকটা পন্তে তিনি শ্ৰীৰূপের কবিত্বশক্তির যে পরিচয় পাইলেন, তাহাতে তঁাহার হৃদয় বিস্মিত হইয়া উঠিল । তিনি বিস্ময়প্ৰফুল্ল নেত্ৰে শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর অভিমুখে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন-“প্রভো আপনার শ্ৰীচরণকৃপায় এ দাস অনেক কাব্য পাঠ করিয়াছে, অনেক প্রকার কাব্য-শাস্ত্র আলোচনা করিয়াছে কিন্তু এমন অপূৰ্ব্ব কবিত্ব আর কখনও দৃষ্টিগোচর হয় নাই,-যেমন শব্দালঙ্কার, তেমনই অর্থালঙ্কার, আর তেমনই ছন্দের লালিত্য ৷ ” এতদ্ব্যতীত নাটক-লক্ষণের এমন পূর্ণতা আর কোথাও দেখিতে পাই নাই । ( প্ৰভো, এতো কবিত্ব নয়,-ঘোন কাব্যের আকারে অমৃত-মন্দাকিনীরা শতধারা এই কাব্যন্থখানি হইতে উধাও-" স্বাগৰে চুটিয়া চলিয়াছে। কি অদ্ভুত, অপূর্ব কবিত্ব ! কিন্তু প্ৰতো এ