পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৭১

জ্বয়োদশ পরিচ্ছেদ । 8@歌 ভক্ত কৃপায় প্ৰকাশিতে চাহ ব্ৰজরাস । যাৱে করাও, সেই করিবে, জগৎ তোমার বশ ৷ নাটক-সমালোচনায় উক্ত কয়েক ছত্রই শ্ৰীল রামর্যায়ের উপসংহার স্বাক্য ৷ ‘’ পূজ্যপাদ শ্ৰীল রায়মহাশয়ের এই বাক্য যেমন মধুর, তেমনই সরস ও সারগর্ভ। রামরায় স্পষ্টতঃ বুঝিয়াছিলেন, ইতঃপূর্বে তিনি মহাপ্রভুর নিকট কৃষ্ণতত্ত্ব, রাধাতত্ত্ব, প্ৰেমতত্ত্ব ও রসতত্ত্ব সম্বন্ধে যাহা যাহা বলিয়াছিলেন সে সকল বাক্য র্তাহার নিজের নহে,-উহা ব্ৰজরুস প্ৰকাশার্থ মহাপ্ৰভুরই প্রেরণা। এখন তিনি বুঝিলেন শ্ৰীপাদ রূপের যে কাব্য তিনি আলোচনা কবিতে বসিয়াছেন, তাহা মানুষেবা শক্তিতে রচিত হয়। নাই, উহাও মহাপ্ৰভুর প্রেবণা,--তাহাবই শক্তি সঞ্চাবে ব ফল। এখন শ্ৰীল বামরায়েব বিস্ময়ের ভাব অপনোদিত হইল। তাই শ্ৰীল রায় মহাশয় প্ৰশান্ত চিত্তে বলিলেন, ঃ- ভক্ত-কৃপায় প্ৰকাশিতে চাহ ব্ৰজবাস । যাবে কাবাও, সেই কবিবে, জগৎ তোমাব বশ ॥ ৮ শ্ৰীল বামরায় কৃপা করিয়া আমাদিগকে জানাইলেন,--শ্ৰীৰূপের নাটক দুইখানি ব্ৰজয়ন্স-প্ৰকাশের উপায়স্বরূপ । ভক্তগণকে ব্ৰজরসের সুধামাধুৰী আস্বাদিত করাইবার নিমিত্ত পরম দয়াল মহাপ্ৰভু শ্ৰীক্সপ দ্বারা ঈহজগতে ব্ৰজরসের সুধামন্দাকিনীবি প্ৰসন্ন ধারা এই নাটক-আকারে । প্রবাহিত করিয়া রাখিয়াছেন। সুতরাং এ সম্বন্ধে আর অধিক লেখা । বাহুল্য। এই দুই গ্রন্থেয় যাহা উদ্দেশ্য, রামরায় সৰ্ব্বপ্রথমে এ : জগতে অহা অভিব্যক্ত করিয়াছেন। প্রেমিক ভক্তগণ শ্ৰীল রায়মহাশয়ের । ভাবিপদাঙ্ক অনুসরণ করিয়াই এই গ্ৰন্থদ্বয়ের রসাম্বাদন করুন। noong nilanlalapit