পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‹5)ዪm শ্ৰীৱাষ্ম রামানন্দ । ‘ক্ষত্ৰিয়গণ এবং উপনন্দাদি গোপগণ-পরিষদ। চতুর্থ শ্রেণী-অনুগামী { অনুগামী দাস্ত ভক্তের বিবিধ বিভাগ আছে। “পুরে সুচন্দ্র ও মণ্ডনাদি এবং ব্রজে রক্ত-পত্ৰক-মধুকণ্ঠাদি অনুগামী। এই অনুগামীদিগের মধ্যে যাহার সপরিবারে শ্ৰীকৃষ্ণসেবক, তাহারা ধূৰ্য্যভক্ত ; যাহারা শ্ৰীকৃষ্ণের প্ৰেয়সীবৰ্গে অধিক আদবযুক্ত, তঁাহারা ধীর ভক্ত, আর যাহারা কৃষ্ণের কৃপালাভে গৰ্ব্বিত, এবং নিরপেক্ষ, তঁাহারা বীরভক্ত। নিত্যসিদ্ধ, সাধনসিদ্ধ ও সাধকভেদে এই শ্রেণীর ভক্ত ত্ৰিবিধ । দাস্তরসের তিনটী অবস্থা,-প্ৰেম, স্নেহ ও রাগ ; তন্মধ্যে অধিকৃতভক্তে ও আশ্ৰিতভক্তে প্ৰেম পৰ্যন্ত স্থায়ী হয়, পারিষদভক্তে স্নেহ পৰ্য্যন্ত এবং পরীক্ষিৎ দারুক ও উদ্ধবে রাগ পৰ্য্যন্ত প্রকট হইয়া থাকে। কিন্তু ব্ৰজানুগ রক্তকাদিতে এবং পুৰে প্ৰদ্যুম্নাদিতে সকল গুলি অবস্থাই দৃষ্ট হয়। দাস্তরসে আযোগ, যোগ ও বিয়োগ এই তিন অবস্থাই থাকে। প্ৰথম দর্শনের পূর্বের অবস্থার নাম-অযোগ ; দর্শনের পর যে বিচ্ছেদ ঘটে তাহার নাম কয়োগ ; মধ্যাবস্থায় সঙ্গের নাম যোগ। দাস ভক্তগণের শ্ৰীকৃষ্ণ বিয়োগে, মঙ্গ-তাপ, কৃশতা, জাগরণ, আলম্বনশূন্যতা, অধীরতা, জড়তা, ব্যাধি,উন্মাদ, উৰ্দ্ধা ও মৃত্যুতুল্য অবস্থা ঘাঁটিয়া থাকে। অযোগে ঔৎসুক্যাদি এবং যোগে সদ্ধিতুষ্টি প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয়। ফলতঃ দাস্তভক্তিরসে শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতি দিয়ের যে একটা প্ৰবল আকর্ষণ পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। এই সকল ষিয়ের বিচারে তাহ স্পষ্টতঃই অনুমিত হয়। এই নিমিত্তই য়ামরায় হ্যাভক্তিকে সাধ্য বিলিয়া অভিহিত করিলেন । শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰভু দাস্তপ্রেমের কথা শুনিয়া বলিলেন “সাধ্য তত্বের মধ্যে স্তপ্ৰেম প্রেমসাধনের উপায় বটে। কিন্তু ইহা সাধ্য-তত্বের সারা নহে। দ্বার পরে কি তাঁহাই বল।” শ্ৰীরাম রায় মহাশয়। অতঃপরে সখ্যপ্রেমের কথা তুলিলেন। প্রেমের রাজ্য—জীবের আপন রাজ্য।