পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? चैत्री बांगांमका حيث ঘোষিৎসঙ্গীর চিত্তে স্থৈৰ্য্য নাই, উহাতেই সততই বিক্ষিপ্তি, সততই চাঞ্চল্য-সততই কামনা-সাগরের তরুল তরঙ্গ। উহাতে প্ৰাণ চঞ্চল হইয়া যায়, হৃদয় অস্থির হইয় পড়ে। শ্ৰীভগবাচ্চরণধ্যান ত অতি দূরের কথা, অধ্যয়নাদি অপরাপর কার্য্য হইতেও চিত্ত বিচলিত হয়। সুতরাং নিষ্কিঞ্চন ভক্তগণের পক্ষে স্ত্রীদর্শন যে বিষভক্ষণ অপেক্ষাও অধিকতর আত্মহত্যাজনক অসাধু কাৰ্য্য, তাহাতে আর সন্দেহ কি ? কিন্তু অপ্রাকৃত আনন্দ চিন্ময়রসে পূর্ণাভিষিক্ত অদ্বিতীয় ভক্তবীর শ্ৰীল রামর্যায়ের কার্য্যাদি প্ৰকৃত জীবের কাৰ্য্যের সহিত তুলিত হইতে পাবে না এবং প্রাকৃতিক জগতের কাৰ্য্য-বিচারের তুলদণ্ডে তাহার, বিচার করা যায় না । তাই দয়াময় প্ৰভু বলিতেছেন :- রামানন্দ রায়ের কথা শুনি সৰ্ব্বজন । কহিবার কথা নহে আশ্চৰ্য্য কথন ৷ এক দেবদাসী তায় সুন্দরী তরুণী । তার সব অঙ্গসেবা করেন। আপনি ৷ স্নানাদি করায় পরায় বাস-বিভূষণ । গুহ অঙ্গ হয় তার দর্শন স্পৰ্শন ॥ তবু নিৰ্বিকার রায় রামানন্দের মন । নানা ভাবোদগমে তারে করায় শিক্ষণ । নিৰ্বিকার দেহ মন কাষ্ঠ পাষাণ সম । আশ্চৰ্য । তরুণী স্পর্শে নিৰ্ব্বিকার মন ॥ ২ শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু রামর্যায়ের এই কাৰ্য্যের কথা উল্লেখ করিয়া বলিলেন । “স্বাময়ায়ের কথা জগতে বলিবার কথা নয়, ইহা জগতে প্ৰকাশেরও কথা নহে-লে এক অতি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার।” আশ্চৰ্য্য কি ? পাণিনি বলেন, མ་ག་གཏང་མོད་ལ་མི་ཚ”, অর্থাৎ যাহার নিত্যতা নাই, তাহাই আশ্চৰ্য্য चैबाक्স্বারের এই কাৰ্য যে সৰ্ব্বভৌমিক নহে, ইহুদ্বারা তাই স্থচিন্ধ হইল।