পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৪৯২

3s बैब्रां ब्रांयन्नम् । প্ৰাণবল্লাভের সহ মিলিত হইতে চলিয়াছেন, এই গানে কবিবার তাঁহাই প্ৰকাশ করিয়া লিখিয়াছেন ঃ ১ । “শ্ৰী রাধাকুঞ্চিত ঘনকৃষ্ণ চিকুরে শুভ্ৰ কুসুম ধারণ করিয়াছেন, উহা নীলিম যমুনার মৃদুল তরঙ্গে ফোনসমুহের ন্যায় শোভা পাইতেছে। তিনি তাহার দক্ষিণ নয়নভঙ্গীতে যেন অনুকুল অনঙ্গকে নৃত্য করিতে আদেশ করিতে মধুর বেশে হরিসমীপে অভিসার করিতেছেন।” এ স্থলে প্ৰবৰ্দ্ধিত আনন্দবেগে অভিসারিক শ্ৰীমতীর নয়নে যে রাস উথলিয়া উঠিতেছিল, গানে তাহার পরিচয় পাওয়া যাইতেছে। কিন্তু গায়িকা যখন এই গান করেন, তাহার নয়নে তাদৃশ ভাবের অন্ততঃ লেশাভাসটুকুও অভিনীত না হইলে এই সরস গানের সজীবতা থাকে না, অপর হৃদয়েও সে ভাব সঞ্চারিত হয় না। মানুষের মনের ভাব মুখনেত্ৰাদিতে প্ৰকাশিত হয় । মনের সহিত দেহের সম্বন্ধ অতি ঘনিষ্ট, চক্ষুর সহিত সে সম্বন্ধ আরও ঘনিষ্ঠতর। হাসির ভাবটুকু মুখে ফুটিতে না ফুটিতে আগে চোখে ফুটিয়া উঠে। কোন ভাব দেহের কোন স্থানে কি প্রকার ক্রিয়া করে, তাহাতে কি প্রকার পরিবর্তনের সঞ্চার করে তাহার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। ইদানীং পাশ্চাত্য মনস্তত্ত্ববিদগণের মধ্যে প্রফেসর বেইন প্ৰভৃতিও এ বিষয়ের আলোচনা আরম্ভ করিয়াছেন। fift (ge (Utics Manifestation of feeling “streror নামে অভিহিত "কারিয়াছেন। সহজ কথায় ইহাকে “ভাওবাতান” ( Expression ) at যাইতে পারে। প্রফেসর Bell নামক অপর একজন পণ্ডিত ( Psycho-physiologist ) GRIFța er Scarfars কি শ্লোকায় পরিবর্তন উপস্থিত করে, তাহার বিবরণ লিখিয়াছেন, কিন্তু সে. সকল অতি স্থূল । কোন সময়ে ভারতবর্ষে ৰে এই বিষয়ে গভীষ্ম, গবেষণা হইনাছিল। গুহায় আর সঙ্গেহ নাই । ভাববিশেষের উদগমে দৈহিক ও ইঞ্জিয় পেশী