পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ौद्रां ब्राँश्चन्नाम । প্ৰথম দশ দিবস পৰ্যন্ত রাত্রির পর দিন, দিনের পর রাত্রি অতিবাহিত হইত,-তথাপি সে কথার বিরাম পড়িত না । মহাপ্ৰভু দক্ষিণ তীর্থভ্ৰমণের পরে আবার বিস্তানগরে আসিয়া কৃষ্ণকথা-রস-প্রসঙ্গে কিয়াৎকাল অতিবাহিত করিয়াছিলেন। শ্ৰীল রামরায় সংক্ষেপতঃ ক্রমানুসারে সেই সকল রসময়ী কৃষ্ণকথার প্রসঙ্গ করিলেন। পূর্বেই বলিয়াছি, কৃষ্ণকথা সুধাসাগর-বিশেষ। উহার প্রসঙ্গ করা মাত্রই রসের তরঙ্গে বক্তা ও শ্রোতার হৃদয় পরিশ্নতি হইয়া উঠে। এ স্থলেও স্বয়ং রামরায় বক্তা এবং চিরপিপাসী ব্যাকুলপ্ৰাণ প্ৰত্যুম্নামিশ্র শ্রোতা । সুতরাং কৃষ্ণকথা উত্থাপিত হওয়া মাত্ৰই উভয় হৃদয়ে যে রসের উত্তালতরঙ্গ উধাও হইয়া উঠিবে, তাহা বলাই বাহুল্য। রায় মহাশয়ের নিভৃতকক্ষে কৃষ্ণকথা-রসার্ণবের যে তুমুল তরঙ্গ উঠিয়াছিল, তাহার বর্ণনা আমাদের সাধ্যাতীত। যাহা ধারণায় আনিতে অসমৰ্থ, তাহা বৰ্ণনা করিব কি প্রকারে ? শ্ৰীচরিতামৃতের ভাষা মন্ত্রশক্তিশালিনী । মন্ত্রের ক্ষমতা অসীম ও অলৌকিকী । সুতরাং আমরা এখানে উহাই উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি, যথা :- তবে রামানন্দ ক্ৰমে কহিতে লাগিল । কৃষ্ণকথা-রসামৃত সিন্ধু উথলিল ৷ আপনি প্রশ্ন করি পাছে করেন সিদ্ধান্ত । তৃতীয় প্রহর হৈল, নহে কথা অন্ত ৷ বক্তা শ্রোতা কহে শোনে দোহে প্ৰেমাবেশে । আত্মস্মৃতি নাহি, কঁহা জানিবে দিন শেষে । মধুময়ী কৃষ্ণকথা একবার মৰ্ম্মে প্রবেশ করিলে মানুষের বাহ্যজ্ঞান তিরোহিত হয়, হৃদয় মধুময় হইয়া উঠে, ক্ষুধাতৃষ্ণা ও অন্যাঙ্গ জীৰধৰ্ম্ম বিলুপ্ত হয়, আত্মা প্রেমময়ের অপ্রাকৃত প্ৰেমানন্দময় রাজ্যে বিচরণ -কুরিয়া গোলোকনুযায় প্ৰমত্ত হয়। কৃষ্ণকথা মাদিনীশক্তিশালিনী, কৃষ্ণ কথা ভবয়োগনাশিনী এবং সাক্ষাৎ শ্ৰেমদায়িনী। "