পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৷৷ চতুর্দশ পরিচ্ছেদ। 岱° শ্ৰীল রায় মহাশয়ের নিভৃত কক্ষে কৃষ্ণকথারসামৃতসিন্ধু উথলিয়া উঠিল, দণ্ডের পর দণ্ড অতিবাহিত হইতে লাগিল, শ্রোতা ও বক্তার নিকট বাহাজগৎ বিলুপ্ত হইয়া গেল, উভয়ে এক সুধারসে বিভোর হইলেন, এদিকে বেলা তৃতীয় প্রহর গত প্ৰায়, কিন্তু তথাপি কথার বিরাম নাই, অথচ কোথাকার বেলা কোথায় ঢলিয়া পড়িয়াছে, উভয়ের মধ্যে একজনেরও সে জ্ঞান নাই। শ্ৰীল রায় মহাশয়ের পবিচাবিক উভয়ের ভাবগতি দেখিয়া আর অধিক ক্ষণ অপেক্ষা করা অসঙ্গত মনে করিয়া বলিল “বেলা অবসান প্ৰায়, এখনও আপনাদের স্নানাহিক হইল না ।” পরিচারকের কথায় উভয়ের বাহ্যজ্ঞান হইল। মিশ্র মহাশয় ব্যস্তভাবে বলিলেন, “তবে আজ এই পৰ্য্যন্তই থাক।” রায় মহাশয় বলিলেন, “যে আজে ।” সে দিনের নিমিত্ত সুখময় কৃষ্ণকথাব বিরাম পড়িল, রায় মহাশয় মিশ্র মহাশয়ের সেবার নিমিত্ত আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। মিশ্র বলিলেন, “মহানুভােব আপনি আমার কৃষ্ণকথানুধ্যাপানে চিরতৃপ্ত করিয়াছেন, আমি কৃতাৰ্থ হইলাম। আর কোন উদ্যোগ করিতে হইবে না । আপনি এখন স্নানাহার করুন ।” এই বলিয়া শ্ৰীপ্ৰত্যুন্নীমিশ্র গৃহ-অভিমুখে প্ৰত্যাবর্তন করিলেন, তঁাহার হৃদয় তখনও কৃষ্ণকথার রসরঙ্গে পরিষিক্ত হইতেছিল, তঁহার কর্ণযুগলে তখনও শ্ৰীল রামর্যায়ের মধুময়ী কৃষ্ণকথার সুধাঝঙ্কার প্রবাহিত হইতেছিল। তিনি গোলোকে কি ভুলোকে বিচরণ করিতেছেন, অনেকক্ষণ পৰ্যন্ত ভঁাহার সে জ্ঞান ছিল না। তিনি ধীরে ধীরে আপনি ঘরে উপস্থিত। হইলেন, ভাবে ভাবে মান করিলেন, আহাৰ করিলেন, তখনও শ্ৰীল। য়ারায়ের সুধামধুর কণ্ঠস্বরের আনন্দময় ঝঙ্কায় তাহার কর্ণযুগলে যেন খুলকে ঝলকে অমৃতবৰ্ষণ ফুরিতেছিল। সন্ধ্যাকালে মিশ্ৰ মহাশয় শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্ৰচুৰ শ্ৰীচরণ সমৰ্পদাৰ্থ আগমন