পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। v বে শ্ৰীভগবান'-ৰ্তাহার প্ৰেমসেবা সস্তবে না। তাই দাস্ত, প্ৰেমসেবার উপায় হইলেও উহাতে যেন গাধককে একটুকু ভীত-ভীত, একটুকু কঁকফাক-একটুকু দূরে-দূরে রাখে। প্রেম চাহে মাখামাখি। সুতরাং দান্ত হইতে সখ্যপ্ৰেম অধিকতর মাখামাখিজনক। শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতের আদি লীলার চতুর্থ পরিচ্ছেদে লিখিত আছে :- ঐশ্বৰ্য্য জ্ঞানেতে সব জগত মিশ্ৰিত । ঐশ্বৰ্য্য-শিথিল প্রেমে নহে মোর গ্ৰীত ৷ আমারে ঈশ্বর মানে--আপনাকে হীন । তার প্ৰেমবশে আমি না হই অধীন। দাস্তাপ্রেনে প্রেমের ভাব আছে, কিন্তু ইহাতে সন্ত্রম ও ভক্তি প্ৰভৃতিজনিত সঙ্কোচতাও আছে। সুতরাং দাস্য প্ৰেমভক্তি, সাধ্যতত্ত্ব হইলেও প্ৰেমরাজ্যে দাস্তপ্রেমের আদর অপেক্ষাকৃত অনেক কম। কিন্তু আমাদের মত বহিরঙ্গগণ অনেক জন্মের তপস্তাতেও বোধ হয় দাস্য-প্রেমের অধিকার লাভ করিতে পারে না। শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভুর সহিত শ্ৰীরাম রায়ের যে আলাপ হইতেছে, উহা প্রেমের উচ্চতম বিকাশের কথা। উহা সাধারণ সাধকের দুন্দ্ৰেক্ষ্য। দাস্তপ্রেম অপেক্ষা সখ্যপ্ৰেম উচ্চতর। শ্ৰীচরিতামৃতের উক্ত অধ্যায়েই লিখিত আছে :- সখা শুদ্ধ সংখ্যে করা স্কন্ধে আরোহণ । “তুমি কোন বড়লোক” তুমি আমি সম ॥ " শ্ৰীভগবানকে সখা বলিয়া সম্বোধন করায়, তাহার সহিত সখ্যতাবে বিচরণ করায় যে অনন্ত মাধুৰ্য্যানন্দ সম্ভোগ করা যায়, তাহ কেবল ব্রজরাখাল