পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

to 8 শ্ৰীক্সীয় রামানন্দ । রচিত শ্ৰীকৃষ্ণলীলা-বিষয়ক, পদ আছে বলিয়া জনশ্রুতি আছে, তাহার আলোচনা অতঃপরে করা যাইবে। শ্ৰীপাদ রূপ গোস্বামি সঙ্কলিত পদ্মাবলী নামক গ্রন্থে যে সকল শ্লোক সংগৃহীত হইয়াছে, সেই গ্রন্থে রায় রামানন্দের শ্লোকও দুই একটী দেখিতে পাওয়া যায়। অতঃপরে সেই শ্লোকাদির উল্লেখ করিব। ভারতীয় সংস্কৃত পুস্তকের তালিকাকার সুবিখ্যাত জাৰ্ম্মেণ পণ্ডিত আউফ্রেক্ট তদীয় গ্ৰন্থ-তালিকায় যে সকল গ্রন্থের নামোল্লেখ করিয়াছেন, তাহাতে রামানন্দ রায় প্ৰণীত কেবল এক জগন্নাথ বল্লভ নাটকের নামই দৃষ্ট হইল। কেহ কেহ। বলেন রায় রামানন্দ শান্তিশতকের একখানি টীকা লিখিয়াছিলেন । খুব সম্ভবতঃ শ্ৰীল রামানন্দ উড়িয়া, বাঙ্গালা, আরবী, পারসী, তামিল তেলেগু ও সংস্কৃত ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন । তামিল ও তেলেগু ভাষা মাদ্রাজে। প্রচলিত। বিদ্যাপনগরের শাসনকৰ্ত্তার পক্ষে এই দুই ভাষার অভিজ্ঞতা তৎকালে একান্তই প্রয়োজন ছিল। চারিশত বৎসর পূর্বে। মুসলমানদের প্রভাব-সময়ে এ দেশবাসীদিগের, বিশেষতঃ রাজকীয় কৰ্ম্মচারিদিগের পক্ষে আরবী ও পারসী ভাষায় জ্ঞান-লাভ অবশুদ্ধ কৰ্ত্তব্যতারঃ মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিল । এখন যেমন ইংরাজী ভাষান্ত জ্ঞান বিষয়কাৰ্য্যে একান্ত প্রয়োজনীয়, সেই সময়ে আরবী ও পারসী ভাষাও সেইরূপ, রাজভাষা বলিয়া সম্মানিত ও আদৃত হইত। বাঙ্গালীদের সহিত ঘনিষ্ট দৃংস্রব থাকার জন্য উড়িষ্যার অধিবাসীদের পক্ষে বাঙ্গালাভাষাজ্ঞানও স্বাভাবিক। রায়রামানন্দ সংস্কৃত ভাষাতেও যথেষ্ট পাণ্ডিত্য লাভ করিয়াছিলেন। কিন্তু কেবল সংস্কৃত ভাষায় লিখিত শ্ৰীজগন্নাথািবল্লভ মািটক ভিন্ন তঁহার রচিত অন্ত কোন গ্রন্থের সন্ধান লাভ করিতে পারি নাই । ফলতঃ নিরস্তুর বিশাল সাম্রাজ্যের রাজকাৰ্য্য ভার স্বীয় স্কন্ধে বহন কঢ়িয় তাহার গ্ৰন্থরচনার অনুকাশ সম্ভবতঃ বড়ই অল্প ছিল । । స్ట్ শ্ৰীজগন্নাথ বল্লভ নাটকখানি কোন সময়ে স্ব দুই ইইয়াছিল, গ্রন্থকার