পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ । to a দুর চাইতে তঁহাদিগকে অতি মৃদু ও সতর্কভাবে কথাবাৰ্ত্তা বলিতে দেখিয়া আর ওদিকে অগ্রসর হইলেন না । তিনি আপন মনে বলিলেন, “উহাৱা মৃদু মৃদু ভাবে কি গোপনীয় কথা বলিতেছেন, এখন উহাদের নিকট যাওয়া অসঙ্গত।” তিনি এই বলিয়া চলিয়া গেলেন। শ্ৰীমতী উষ্ণ নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া গানে মনের বেদনা প্ৰকাশ করিয়া বলিলেন :- “কুলবনিতাজনীতিমাচারং তৃণবদগণয়ং গলিতবিচারমা। ইত্যাদি। এই গানটীতে শ্ৰী রাধাব আক্ষেপ-অনুরাগ সুচিত হইয়াছে । শ্ৰীমৎ রূপগোস্বামী যখন তদীয় নাটকেব “যস্যোৎসঙ্গসুখাশয়" শ্লোক শ্ৰীবামবায়কে শুনাইতেছিলেন, শ্ৰীল রামবায় তখন বিস্মিত হইয়া শ্ৰীৰূপেৰ মুখপানে তাকাইয়াছিলেন। শ্ৰীৰূপ শ্ৰীল রামর্যায়ের নাটক তখনও দেখেন-নাই । কিন্তু তাহার নাটকে এই সকল ভাবের বিকাশ এবং কাব্যের অনন্তু মাধুৰ্যময়ী বর্ণনা দেখিয়া শ্ৰীল রামরায় তখন বিমোহিত হইয়াছিলেন। অতঃপরে শ্ৰীমতী বলিতেছেন, যথা জগন্নাথ বল্লভে :- শ্রাবাং শ্রাবং সুসামশ্রকৃতিসমিতিপরিব্রহ্মবংশীপ্ৰসুতং দর্শং দর্শং ত্ৰিলোকীর্ববতরুণ্যকলাকেলিলাবণ্যসারম। ধ্যায়ং ধ্যায়ং সমুদ্যািদ দুমণিকুমুদিনী বন্ধুরোচিঃ সরোচি শস্থায়ং শ্ৰীকান্তসঙ্গং দহতি মম মনো মাং কুকুলাগ্নিদাহম। অর্থাৎ সখি, সামবেদের ন্যায় তাহার মনোহর সুস্বর্যময় পরব্রহ্ম বংশীরব শুনিয়া শুনিয়া, তাহার ত্ৰিলোকসুন্দর সাক্ষাৎ মদনের ন্যায়। লাবণ্যসান্নি শ্ৰীমুক্তি দেখিয়া দেখিয়া এবং এককালীন উদিত দিননাথ ও নিশানাথসদৃশ শোভাশালি তাহার ভুবনমোহন রূপধ্যান করিয়া করিয়া আমার মম সততই আমাকে তুষানলের কৃষ্ঠায় দগ্ধ করিতেছে।” শশিমুখী প্ৰবোধ দিয়া বলিলেন “প্রিয়াসখি অস্থানে আগ্রহ ত্যাগ কর্ম। দেখ, সেই সমাজনের স্থতায় কৃষ্ণবর্ণ শ্ৰীকৃষ্ণের নিকট ভোঁদড় সম্বন্ধেত যত কথা’ বুলিলায়, তিনি তাঙ্কার সকল কথাতেই উপেক্ষা