পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dB o. वैनत्र ब्रमन्नन् । দেখিলেই উহা দূরে নিক্ষেপ করিতেছেন, দোদুল্যমান গলহারও দূরে ফেলাইয়া দিতেছেন, নীহার দেখিলেই তঁহার ত্রাস উপস্থিত হইতেছে, কোন প্রিয়জনের সহিতও তিনি আলাপ করিতেছেন না, নিরন্তর কুঞ্জগৃহে শয্যা রচনা করিতেছেন। রাধে আর বিলম্ব করিও না, এখন শীঘ্ৰ গিয়া তাহার সহিত মিলিত হও ।” কবি মন্দনিকার মুখে এই কথার অবতারণা করিয়াই অপর দৃশ্যের নিমিত্ত পটক্ষেপ করিয়াছেন । মদনিকাদেবী শ্ৰীমতী রাধিকাকে আনিবার জন্য গমন করিলেন, কিন্তু এদিকে প্ৰতিমুহূৰ্ত্তেই শ্ৰীকৃষ্ণের উৎকণ্ঠ বাড়িয়া উঠিতে লাগিল । তিনি নানা প্ৰকার আশঙ্কা করিতে লাগিলেন, তঁাহার মনে বিবিধ প্ৰকার ভাবনার উদয় হইতে লাগিল। তিনি মনে করিলেন আমি শ্ৰীমতীর অপরিচিত সম্ভবতঃ এই জন্যই হয়ত তিনি এখানে অ্যাসিতে দ্বিধা করিতেছেন। আবার মনে করিলেন তাহা হইবে কেন, যখন অপরিচিতের নিকট অনঙ্গ-পত্ৰ লিখিলেন তখন আসিতে সন্দেহ হইবে কেন, সম্ভবতঃ সখীদের বাক্যে তঁহার একেবারেই বিশ্বাস হয় নাই-তাই বা হইবে কেন ? হইতে পারে তিনি আসিতেছেন, কিন্তু একে কৃশাঙ্গী, তাহান্তে স্তনভার ও জঘনভারেই তিনি মন্থরগতিতে আসিতেছেন, তাহাতেই হয়ত বিলম্ব হইতেছে, আমার এ সঙ্কেত-কুঞ্জও অতি দূরে । রমণীরা স্বভাবতঃই ভীরু, তাহার উপরে আবার অন্ধকার, কিরূপেই বা তিনি সত্বরে আসিবেন। -আবার এমনও হইতে পারে তিনি আসিতেছিলেন, অন্ধকারে নিবীড় বনের পথ ঠিক করিতে না পারিয়া পথভ্রমে অঙ্গ পথে চলিয়া গিয়াছেন। অথবা সেই কৃশাঙ্গী কামবাণে পীড়িত হইয়া একবারেই বিবশী হইয়া পড়িয়াছেন। তিনি সন্মুখভাগে দৃষ্টিপাত্ত করিয়া দেখিতে পাইলেন, আকাশে চন্দ্র উদিত হইতেছে, তখন আরও নিরাপ্ত হইয়া অগরিতে লাগিলেন, প্ৰিয়তমা তামসী অভিসারিকার বেশে আসিতেছিলেন, হঠাৎ