পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

题及刘 শ্ৰীীরায় রামানন্দ । মধুমথনং প্রতি সমুপহরস্তী কুবলয়দামরসেন ৷ সুরসিক প্ৰেমিকভক্ত পাঠক উল্লিখিত চারি ছত্রের প্রতি একবার ভক্তিভারে দৃষ্টিপাত করুন, দেখিতে পাইবেন শ্ৰীল রায় মহাশয় অতি অল্প কথায় প্রেমতত্ত্বের কি এক গুঢ়গাষ্ঠীর ব্যাপার এই চারি ছত্রে পরিস্ফট্ররূপে প্ৰকটন করিয়াছেন । শ্ৰীৱাধিকার প্রবেশমাত্ৰই বিদূষক ও মন্দনিক প্ৰস্থান করিলেন । এইখানেই চতুর্থ অঙ্কের যবনিক পতন হইল। পঞ্চম অঙ্কে শ্ৰীশ্ৰীরাধাকৃষ্ণের সম্ভোগকেলি এবং তৎপরে আরিষ্টাসুর বধের বিষয় বৰ্ণিত হইয়াছে। এই পাঁচ অঙ্কেই শ্ৰীজগন্নাথ বল্লভ নাটকের পরিসমাপ্তি হইয়াছে। এই সঙ্গীত নাটক হইতে শ্ৰীকৃষ্ণ ও বিদূষকের হাস্যরসময় উক্তি-প্ৰত্যুক্তির একটুকু নিদর্শন উদ্ধত করিয়া দেওয়া যাইতেছে যথা :- কৃষ্ণ বলিতেছেন- “সখে এই কোকিল সকলের রব কি সুমধুর।” বিদূষক । বয়স্ত তোমার বংশীরব ইহা অপেক্ষাও মধুর। তদপেক্ষা আবার আমার কণ্ঠরব আরও মধুর। তুমি বংশী বাদ্য কর, আর আমি কণ্ঠরব করি । অমনি কৃষ্ণ বঁাশী বাজাইলেন। তখন বিদূষক বলিলেন “সখে তোমার বংশীধ্বনি ত শুনিলাম। এখন একবার আমার কণ্ঠস্বর শ্রবণ কর।” এই বলিয়া বিদূষক বিকট চীৎকার করিতে লাগিলেন এবং বৃক্ষের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন -“সখে দেখেছ, কোকিলগুলি তােমার বংশীরব শুনিয়া নীরব ছিল কিন্তু আমার কণ্ঠরব শুনিয়া কে কোথায় পলাইয়া গিয়াছে। বংশী-রবের আর গর্বের কারণ নাই ।” বিদুষকের উক্তিগুলি সুৰ্ব্বত্রই এইরূপ প্রতিভাময়ী ও হাস্যরসময়ী । ফলতঃ এই সঙ্গীত নাটকখানি আকারে ক্ষুদ্র হইলেও মধুরাদি নবরসের অফুরন্ত উৎস।