পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৪৪

(tRty छैमान्न ब्रामानना । রামানন্দের বংশু বলিয়া পরিচিত করিয়াছেন এবং এই গ্রন্থে বৎস পরিাচয় স্থলে লিখিয়াছেন ঃ-ইহাদের পূর্বপুরুষগণ উৎকলাবাসী ছিলেন। মনোহর দাসের ভ্ৰাত কাৰ্য্যোপলক্ষে বৰ্দ্ধমানে আসিয়া বসবাস করেন। এবং মনোহরকেও বৰ্দ্ধমানে আনয়ন করেন। উভয়ে এইখানেই বসবাস করেন । দিনমণিচন্দ্ৰোদয়কারের সহিত রায় রামানন্দের প্রকৃত পক্ষে কোন সম্বন্ধ ছিল। কিনা, অথবা ইহা কেবল এই গ্ৰন্থ-রচয়িতার বিশিষ্টকুলোদ্ভবত জ্ঞাপন নিমিত্ত প্ৰাচীন রুচিসঙ্গত এক প্ৰকার প্রয়াসবিশেষ, তৎসম্বন্ধে আমাদের কোন বক্তব্য নাই। মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার ও গোপাল উড়ে উৎকলাবাসী হইয়াও বাঙ্গালা সাহিত্যে প্ৰসিদ্ধি লাভ করিয়া গিয়াছেন। সুতরাং ভাষার প্রশ্ন তুলিয়া শ্ৰীল রামানন্দ রায় মহাশয়কে এই সকল পদের রচয়িতার অধিকারিত্ব হইতে বিচুত করা ও যুক্তিযুক্ত হইতে পারে না । কিন্তু একটী কথা আমাদের সবিশেষ চিন্তায়িতব্য। শ্ৰীল ব্ৰায় মহাশয় আমাদের ভক্তির সামগ্ৰী । কিন্তু তাই বলিয়া রামানন্দ বসুকে বঞ্চিত করিয়া রামানন্দ রায়কে বিনাপ্ৰমাণে কতিপয় গৌরপদাবলীর রচয়িতা বলিয়া স্থির করা যুক্তিসঙ্গত নহে। শ্ৰীগৌরপদাবলীতে “রামানন্দ” ভণিতায় যে সকল পদ আছে, সেই সকল পদ রামানন্দ রায় বা রামানন্দ বসু অথবা অপর কোন রামানন্দের রচিত তাহ নিৰ্ণয় করা সুকঠিন । সুতরাং অজ্ঞাতস্থলে পাছে বা একের কৃতিত্ব অপরের বলিয়া প্ৰকাশ করিয়া হস্তায় ও সত্যের মৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করি, এই ভয়ে আমরা শ্ৰীগৌরপদতরঙ্গিণীর পদকৰ্ত্তাদের পদনির্দেশসুচক সুচীর সহিত একমত হইতে পারিলাম না। রামানন্দ বসু মহাশয় শ্ৰীগৌরপদাবলী-রচয়িতাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করিয়াছিলেন । কিন্তু শ্ৰীগৌরপদতরঙ্গিণীকারের সুচী অনুসারে আমরা ইহার রচিত, দুইটী মাত্র পদ দেখিতে পাই । ইহায় রচিত পদের এত অল্পত সম্ভবপর নহে। এ সন্ধান্ধে অধিক বাগবাহুল্য নিম্প্রয়োজন। rare unprgrythole-issueenship hopethol