পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R শ্ৰী রায় রামানন্দ । নাথ বসু মহাশয় এই সুবিশাল সাম্রাজ্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণী বিশ্বকোষের জন্য লিখিতে আমার উপরে ভারার্পণ করেন, বিশ্বকোষেয় সেই প্ৰবন্ধ হইতে বিদ্যানগরে সমৃদ্ধি সম্বন্ধে নিম্নলিখিত পংক্তি নিচয় উদ্ধৃত ३छ्रेग “বিদ্যারণ্য মাধবাচাৰ্য্যের নামানুসারে প্রাচীন বিজয়নগর বিদ্যানগর নামে অভিহিত । মাধবাচাৰ্য্য বিজয়নগরের রাজাদের গুরু রাজনীতিক উপদেষ্ট ও মন্ত্রী ছিলেন । বিজয়নগরের ধ্বংসাবিশেষের উপর মাধবাচাৰ্য্য বিদ্যারণ্য সুবিপুল অভিনব নগর সংস্থাপিত করেন। তিনি এই বিপুল রাজধানীর সংস্থাপয়িত সুতরাং তদীয় উপাধি অনুসারে এই নগর “বিদ্যানগর” নামে অভিহিত হয় । সেই সময় হইতেই এই বিশাল সাম্রাজ্যের আয়তন, অর্থ-গৌরব ও রাজবৈভব দিন দিন প্রবদ্ধিান্ত হইতে থাকে । ইহার বিশাল বৈভবের কথা শুনিয়া পারস্য ও ইয়োরোপ প্রভৃতি স্থানের পর্য্যটকগণ এই মহানগর-সন্দর্শনার্থ আগমন করেন। বিদ্যানগরের তৎকালিক বৈভব বাস্তবিকই বর্ণনাতীত । গগনভেদী গিরিমালার ন্যায় সুদৃঢ় দুৰ্গমালা, কবিকল্পিত ইন্দ্রপুরী বিনিন্দিত বিপুল বৈভবান্বিত বহুমূল্য ভোগবিলাসোপকরণ দ্রব্যাদিপুর্ণ নিরুপম শোভাময় শত শত রাজপ্ৰাসাদ, নগরবক্ষঃপ্রবাহিণী বহুল জলপ্রবাহিকা, শত শত দেব মন্দির, অগণ্য শিক্ষাথিসন্ধুল বিদ্যালয়সমূহ, মহামূল্য বিবিধ দ্রব্যপরিপূর্ণ অগণ্য পণ্যবীথিকা, বিলাসিজনসেব্য সুরম্য প্ৰমোদ ভবন, চিরহরিৎ শোভাময় লতামণ্ডপ, সুবিপুল পুষ্পেপাদ্যান, কোমলকমলকুসুমকহলারপূর্ণ শত শত সরোবর, সৌধশ্রেণী:মধ্যবৰ্ত্তী সরল ও সুদীর্ঘ রাজপথ, বহুসংখ্যক সুবিপুল পন্থশালা, হস্তিশালা, অশ্বশালা, গ্ৰীষ্মাবাস, ফলোদ্যান, মন্ত্রীভবন, সভামণ্ডপ, ধৰ্ম্মাধিকরণ প্রভৃতি নাগরীয় বৈভবে এই সমঙ্গে বিদ্যানগর জগতের প্রধানতম নগররূপে পরিণত হইয়াছিল। কৃষ্ণদেব রায়লুর সময়ে একশত চল্লিশ বর্গমাইল পরিমিত ভূখণ্ডের উপর