পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 झांश ब्रांभांन् । শ্ৰীভগবানকে পুত্ররূপে প্রাপ্ত হওয়া, তাহাকে পুত্ররূপে লালনপালন করা নিত্যসিদ্ধগণের পক্ষেই সম্ভাবনীয়। এমন মহাভাগ্য কি মানুষের হয় ! তথাপি মানুষ সেই ভাব লইয়া,-ব্রজের সেই মহাবাৎসল্য-ভাবসাগরের বিন্দুকণার আভাস লইয়া সাধনার পথে অগ্রসর হইলে প্রেম’ সাধনার মহারাজ্যের সুগম পথ পাইতে পারেন। বাৎসল্যাপ্ৰেম সখ্যপ্ৰেম হইতেও অধিকতর আদরের। বাৎসল্য= প্রেমের যে প্ৰকার প্রগাঢ়তর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়, আমাদের এই প্ৰেমভাস-প্ৰকাশক সংসারেও তাহার সবিশেষ পরিচয় পাওয়া যায় । শ্ৰীভগবানের প্রেম গাঢ় রূপে মাতৃশিক্তিতে বিরাজিত। এই জগতে মাতা প্রেমের সাক্ষাৎ শ্ৰীমূৰ্ত্তি। তঁহার স্তন্যধারা-প্রেমেরই মূৰ্ত্তিমান প্রবাহ, তাহার স্নেহবৎসল নয়নদৃষ্টি,--প্রেমের বাহ প্ৰকাশমাত্র, তাহার স্নেহমধুর মুখের বাকা, প্রেমেরই পরিস্ফুট ভাষা। মানুষের কথা দূরে থাকুক, বনের বিহগী কত যত্নে চণ্ডুপুটে আহার আনিয়া কিরূপ ব্যস্ততা ও ব্যগ্রতাসহ শাবকের মুখবিবরে প্রদান করিয়া কৃতাৰ্থ হয়, পাঠক এস্থলে একবার সে কথা স্মরণ করুন। বিহগী কোন শক্তির প্রণোদনায়, কাহার প্রেরণায়, কোন ভাবে বিভাবিত হইয়া নিজে অভুক্ত থাকিয়াও শাবকের ক্ষুধা-নিবারণে ব্যাকুল হয় ? ইহাই বাৎসল্যপ্ৰেম । এই মহাব্যাপ্তিময়ী বাৎসল্য-শ্ৰীতির প্রভাব সৰ্ব্বত্র । পাঠক মহাশয়, বৎসাহারা ধেনুর কথা মনে করুন, সেই দিগ্নিদারী। মৰ্ম্মস্পর্শী, প্ৰাণ-ব্যাকুলতাকার হাম্বারব, সেই সাক্ষাৎ ব্যাকুলতার প্রতিচ্ছবি “কি-জানি কোথা-গেলে-পাব” এমন তীব্ৰ ভাবময় ঢাল-চল-নয়নযুগল একবার মনে করিয়া দেখুন, ইতর প্রাণীতেও এই বাৎসল্য-প্রেমের প্রভাব কত বলবান। মানুষ যদি ঐ বাসহান্না ধেনুর মত শ্ৰীকৃষ্ণের জন্ত আকুল হইয়া “কৃষ্ণ রে, বাপরে আমার” বলিয়া ভাকিতে পারেন, তবোমা যশোদার অঞ্চলের নিধি সুন্দরবালগোপাল মুর্তিতে কেনই বা তিনি না দেখা দিবেন? ' '