পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 শ্ৰী রায় রামানন্দ পরম ও চরম লক্ষ্য জীবসমাজে প্ৰকটন করাই প্ৰভুর উদ্দেশ্য। বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্ম হইতে আরম্ভ করিয়া শ্ৰীল রাম রায় মহাশয় বাৎসল্য প্ৰেম পৰ্য্যন্ত বলিলেন, তথাপি প্রভুর জিজ্ঞাসার নিবৃত্তি হইল না। ব্ৰহ্ম-জিজ্ঞাসা পৰ্যন্ত বেদান্তের চরম সীমা । শান্ত ভাবেই সেই জিজ্ঞাসার নিবৃত্তি। কিন্তু শ্ৰীপ্ৰভুর প্রবৰ্ত্তিত প্ৰেমধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসার প্রারম্ভ,-দাস্তপ্রেম হইতে । শাস্তে কৃষ্ণনিষ্ঠত আছে, কিন্তু তাহাতে প্রেমের সেবা নাই। দাস্তেই প্ৰেমভজনের আরম্ভ ।। সখ্য ও বাৎসল্য ইহার ক্রমবিকাশ । বাৎসল্যরসের কথা শুনিয়া প্ৰভু বলিলেন “ইহা উত্তম। কিন্তু ইহার পরে কি ?” রাম রায় বলিলেন, “তবে শ্ৰীকৃষ্ণ-কান্তাগণের প্রেমের কথা বলিব কি ? শ্ৰীকৃষ্ণবল্লভ ব্রজসুন্দরীগণের প্ৰেম অতি অদ্ভুত। শ্ৰীভাগবত বলেননায়ং শ্ৰীয়োহাঙ্গ উ নিতান্তরীতেঃ প্ৰসাদঃ স্বর্যোষিতং নলিনগন্ধরুচাং কুতোহান্ত । রাসোৎসবেহস্তে ভূজদণ্ডগুহীতকণ্ঠলব্ধাশীষাং য উদগাদ ব্রজসুন্দরীণাম। অর্থাৎ শ্ৰীভগবান রাসোৎসবের সময়ে ব্রজসুন্দরীগণের কণ্ঠে ভুজ দণ্ড অৰ্পণ করিয়া ভঁহাদের প্রতি যেরূপ কৃপা করিয়াছিলেন, শ্ৰীনারায়ণের বক্ষঃস্থল সমাশ্রিত একান্তরতিশালিনী লক্ষ্মীর প্রতিও তাদৃশ প্ৰসাদ উদিত হয় নাই। সুতরাং, নলিনীগন্ধশীল স্বৰ্গঘোষিৎ প্রভৃতি অপর রমণীগণের পক্ষে সে সৌভাগ্যলাভের আর সম্ভাবনা কি ? ব্রজসুন্দরীগণই মধুর ভজন প্ৰকটন করেন। মধুর চাহনি, মধুর হাসি, মধুর সম্ভাষণ, মধুর হাবভাব,-নবযৌবনের নবানুয়াগের সমস্ত মাধুৰ্য শ্ৰীকৃষ্ণের পদমূলে সমৰ্পণ করিয়া ব্রজসুন্দরীগণ শ্ৰীকৃষ্ণের ভজন করেন। শ্ৰীবৃন্দাবনের কুসুমিত কুঞ্জেকুঞ্জে ব্রজসুন্দৰীগণ ফ্লািসয়াজের যে মধুর সেবা করেন, ত্ৰিভুবনে আর কোথাও তেমন সেবা-পারিপাটাের লেশ্বাভাস দৃষ্ট হয় না। শ্ৰীকৃষ্ণপ্ৰাপ্তির অনেক উপায় আছে বটে,