পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ। 8兹 সাধকগণ শ্ৰীভগবানের কৃপায় তাহাকে প্ৰাপ্ত হয়েন বটে, কিন্তু সকলেই একরূপ ভাবে তাহার তত্ত্ব-রসাস্বাদ সম্ভোগ করিতে পারেন না । ঐ শ্যামল দুৰ্ব্বাদলপরিশোভিত তরুণঅরুণকিরণরাগরঞ্জিত অভিনব শিশিরবিন্দু আমি দেখিতেছি, তুমি দেখিতেছ, আর প্রকৃতির প্রিয়তম ভক্ত একজন সুকবিও দেখিতেছেন। আমার তোমার চক্ষু উহাকে একটী সামান্য শিশিরবিন্দু ভাবিয়া উহার দিকে অভিনিবেশসহ আকৃষ্ট হইতেছে না। কিন্তু বিশ্বের সৌন্দৰ্য্যপিপাসু কবির নয়নযুগল উহাতে অখিলারসামৃত রসরাজের সৌন্দৰ্য্যশিল্পের পরাকাষ্ঠা দেখিয়া বিমুগ্ধ হইতেছে। শান্ত, দাস্তা, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর প্রভৃতি ভাবনিচয় শ্ৰীকৃষ্ণ প্ৰাপ্তির উপায় বটে, কিন্তু নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করিলে অনেক তারতম্য পরিালক্ষিত হয়। তাই শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃতে লিখিত আছে :- কৃষ্ণ প্ৰাপ্তির উপায় বহুবিধা হয় । কৃষ্ণ প্ৰাপ্তির তারতম্য বহুত আছয় ৷ কিন্তু যার যেই ভােব সেই সৰ্ব্বোত্তম। তটস্থ হয়ে বিচারিলে আছে তারতম ৷ শান্তভাবে ভজন করিলেও শ্ৰীকৃষ্ণকে লাভ করা যায়। কিন্তু দাশ্যে যে ভজনারস আছে, শ্যান্তে তাহা নাই। আবার সখ্যে যাহা আছে, দাতে তাহা নাই, বাৎসল্যে যাহা, আছে, সখ্যে তাহা নাই, অবশেষে মায়ুৰ্য্যে যাহা আছে বাৎসলো তাহা নাই। অথচ শাস্তে বাহা আছে, দাস্তে তাহা ত আছেই, আরও কিছু বেশী আছে। শাস্তুের কৃষ্ণনিষ্ঠ ও দাস্তের সেবা এই দুই দাতে আছে, কিন্তু দাস্তে সখা নাই। সখ্যে শাস্তের কৃষ্ণনিষ্ঠ, মাস্তের সেবা, এবং সখ্যেক্ষ আপনা-আপনি নিঃসঙ্কোচ ভাৰ আছে, অথচ বাৎস্নাল্যের দেহ নাই। বাৎসল্য শাস্তুের ফ্রাঙ্কনিষ্ঠা লাভের