পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্ৰীয়ায় রামানন্দ । উহাতে কাস্তার মধুর সেবা অসম্ভব। মধুর ভাবে উক্ত চারিভাবই বিরাজিত। তাই শ্ৰীচরিতামৃতে লিখিত হইয়াছে :- গুণাধিক্যে স্বাদাধিক্য বাড়ে প্রতি রসে । শান্তদাস্ত সখ্য বাৎসল্য মধুৱেতে বৈসে ৷ এই কথাটী দার্শনিক দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝাইবার জন্য সৰ্ব্বশাস্ত্ৰবিশারদ ও প্রেমিক ভক্ত শ্ৰীল রামরায় বেদান্তদর্শনের পঞ্চীকরণ-তত্ত্বের উল্লেখ করিয়া বলিতেছেন ঃ আকাশ্যাদির গুণ যেন পর পর ভূতে । দুই তিন গণনে বাড়ে পঞ্চ পৃথিবীতে ৷ বেদান্তসারে লিখিত আছে :- “আকাশে শব্দোহভিব্যজিতে । বায়েী শব্দস্পশে । আগ্নেী শব্দস্পৰ্শরূপাণি। অন্স শব্দস্পর্শ রূপরসাঃ । পৃথিব্যাং শব্দস্পর্শরূপরসগন্ধাশ্চা।” অর্থাৎ আকাশের গুণ কেবল শব্দ। বায়ুতে আকাশের গুণ শব্দ আছে, নিজের গুণ স্পর্শও আছে। অগ্নিতে শব্দ স্পর্শ ও রূপ আছে। রসে শব্দ স্পর্শ রূপ ও রস এই চারিটি গুণ আছে। পৃথিবীতে জলের চারিটিী গুণতো আছেই, ইহা ব্যতীত গন্ধ নামক স্বতন্ত্র গুণ আছে। সুতরাং পৃথিবীতে পাঁচগুণ বৰ্তমান। এই প্রকার মধুর ভাবেও পাঁচটা গুণ বৰ্তমান থাকায় ইহার স্বাদাধিক্য সর্বাপেক্ষা বেশী। অন্যান্য ভাবেও কৃষ্ণপ্ৰাপ্তি ঘটিয়া থাকে, সত্য। কিন্তু গুণাধিক্যেই স্বাদাধিক্য হয়, সুতরাং সৰ্ব্বাপেক্ষা গুণশীল মধুরেই স্বাদাধিক্য সর্বাপেক্ষা অধিক ইহা স্বতঃসিদ্ধ। তাই শ্ৰীীরামরায় বলেন “পরিপূর্ণ কৃষ্ণপ্ৰাপ্তি এই প্ৰেমা হৈতে। এই প্রেমের নাশকৃষ্ণ কহে ভাগবতে ॥ " “এই প্রেমার অনুরূপ না পারে ভজিতে। অতএব ঋণ হয় কহে ভাগবতে " .