পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ । R গেলেন কেন ? অবশ্যই শ্ৰীকৃষ্ণ গোপীদের ভয়ে ভীত হইয়াছিলেন। তাহা হইলে এ প্ৰেম নিরপেক্ষী নহে, এ প্ৰেম অন্যাপেক্ষ। কেননা, শ্ৰীকৃষ্ণ অন্যান্য গোপীদের মনের দিকে না চাহিয়া পারেন না। অন্যাপেক্ষ প্রেমের বা “ভাগের প্রেমের” দৃঢ়তা কোথায় ?” তদুত্তরে রামরায় বলিলেন “রাধাপ্রেমের উৎকর্ষ আছে। গোপীগণ শ্ৰীকৃষ্ণকে পাইয়া আর কোন দিকে চাহিলেন না, অমনি আনন্দে বিভোর হইলেন । কিন্তু শ্ৰীমতী যখন দেখিলেন প্ৰত্যেক গোপীর পার্শ্বে ই এক এক কৃষ্ণ, ঠিক সেইরূপ সাধারণ ভাবে তাহার পার্শ্বেও এক কৃষ্ণ রহিয়াছেন। ইহাতে শ্ৰীমতীর মান হইল, তিনি রাস ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন। মহাভাবময়ী শ্ৰীমতীর বিরহে তৎক্ষণাৎ রাসের চাঁদের হাট ভাঙ্গিয়া গেল। শ্ৰীকৃষ্ণ শ্ৰীমতী-বিরহে যমুনাকূলে বসিয়া কাদিতে লাগিলেন। এখন বিচার করুন। গোপীপ্রেমের ধার শ্ৰীকৃষ্ণ শোধ করিতে অসমর্থ হইয়া তাহদের নিকট ঋণী হইলেন, কিন্তু এক শ্ৰীমতী ব্যতীত শতকোটী গোপীও স্বর্তাহার রাসবিলাসের বাসনা-নিৰ্বাপণে সমর্থ হইলেন না । প্ৰভো, এই জন্যই বলিয়াছি, রাধাপ্ৰেম জগতে প্ৰকৃতই অতুলনীয়।” প্রভুর শ্ৰীমুখকমল উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। তিনি গ্ৰীত হইয়া বলিলেন, “এই সকল রসতত্ত্ব জানিবার জন্যই তো তোমার নিকট আসিয়াছিলাম। এখন এ সকল কথা ভালরূপেই বুঝিতে পারিলাম। সাধ্যসাধন-নিৰ্ণয়তত্ব বুঝিতে পাব্রুিয়াছি। কিন্তু আমার আরও জিজ্ঞাত আছে। কৃষ্ণের স্বরূপ, শ্ৰী রাধার স্বরূপ, রসতত্ত্ব, প্ৰেমতত্ত্ব প্রভৃতি আমাকে বুঝাইয়া দিতে হইবে। তুমি কৃপা করিয়া না বলিলে আর কোথাও এই সকল জানিবার উপায়। নাই। তুমি ভিন্ন আর কেহ এই সকল তত্ব নিরূপণে সূমির্থ নহে! দয়া করিয়া বলা ?” প্ৰভুয় শ্ৰীকণ্ঠরর স্বভারতাই অতি মধুরী, অহা শ্ৰী রাধার প্ৰেমোৎকর্ষ । i'r = ክ'፭ ነ . s 籌。 ክኛ -