পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰী রায় রামানন্দ। “ঈশ্বর পরম কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান। সৰ্ব্ব-অবতারী সর্ব-কারণ ৫ধান । অনন্ত বৈকুণ্ঠ আর অনন্ত অবতার। অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড ইহ সভার আধার ॥ সচিদানন্দদেহ ব্ৰজেন্দ্ৰনন্দন । সৰ্ব্বৈশ্বৰ্য সৰ্ব্বশক্তি সৰ্ব্বমাধুৰ্যপূর্ণ।” এই সংক্ষিপ্ত উক্তিতে লঘু ভাগবতামৃতের ও যাঁটুসন্দর্ভের সমগ্র তত্বের সাব নিহিত রহিয়াছে। ক্রমশঃ এই সকল তত্ত্ব বিবৃত করা যাইতেছে। কৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান। বেদান্তিগণের ব্ৰহ্ম, যোগিগণের পরমাত্মা ও ভক্তগণের ভগবান একই বস্তু। বেদান্তশাস্ত্রে যিনি পরব্রহ্ম কৃষ্ণ শব্দের বিবিধ বুৎপত্তি দৃষ্ট হয় :- (১) কর্ষতি সৰ্ব্বান স্বকুক্ষেী প্ৰলয়কালে যঃ সঃ কৃষ্ণঃ। (২) কর্ষতি আত্মসাৎ করে।াতি আনন্দত্বেন পরিণাময়তীতি মনো ভক্তনামিতি যাবৎ যঃ সঃ কৃষ্ণঃ । “কৰ্ষণাৎ কৃষ্ণঃ । যিনি আকর্ষণ করিতেছেন তিনি কৃষ্ণ । ইনি ভক্তগণের চিত্ত আনন্দত্ব দ্বারা পরিণমিত করিয়া আত্মসাৎ করেন । মহাভারতে যানসন্ধিপর্বেও কৃষ্ণ শব্দের একটি নিরুক্তি দেখিতে পাওয়া যায়, তদযথা :- “ কৃষিভূবাচকঃ শব্দে ণশ্চ নিবৃতিবাচকঃ। কৃষ্ণস্তদ্ভাব্যযোগাচ্চ কৃষ্ণে ভবতি সাত্বতঃ । সুক্ষ্মদৃশী ঋষিকল্প শ্ৰীধর স্বামী এতদবলম্বনে লিখিয়াছেন ঃ কৃষিভূ বাচক শব্দে। শস্ট নিবৃতিবাচকঃ। তয়োরৈক্যাৎ পরং ব্ৰহ্ম কৃষ্ণ ইত্যভিধীয়তে | কৃষ্ণ শব্দের মিরুক্তি। 予津 শ্ৰীমদ্ভাগবতে লিখিত হইয়াছে -