পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৯০

èज्ञ ब्रन् । অনন্তকোটী বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের কারণসমূহের বঁকারণ, ठिनि ऊान्स्प्लु भद्धिकझ আশ্রয়, তিনি ভগবান অর্থাৎ সমগ্ৰ ঐশ্বৰ্য বীৰ্য্য যশ শ্ৰী প্রভৃতির পূর্ণ আধার। কিন্তু শ্ৰীল রামরায় মহাপ্রভুর নিকট যে কৃষ্ণতত্ত্বের কথা উত্থাপন করেন তাহা আরও সূক্ষ্মতম, সে তত্ত্ব আরও অধিকতর উচ্চগ্রামে অবস্থিত । শ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্বের আলোচনা করিতে গিয়া শ্ৰীপাদ শ্ৰীজীব গোস্বামি মহােদয় ষট্ৰসন্দর্ভে যে প্রকার শাস্ত্ৰবিচার করিয়াছেন তাহার পরিস্ফুট বঙ্গানুবাদ ও বিশদ ব্যাখ্যা না করিলে এসম্বন্ধে চিত্তের তৃপ্তিসাধ্যম হয় না । সূক্ষ্ম শাস্ত্রের আলোচনায় সাধারণ পাঠকের ক্লেশের কারণ হওয়া অসম্ভব নহে, কিন্তু যে কৃষ্ণতত্ত্ব সচ্চিদানন্দরসময়, শাস্ত্রের উপদেশ ভিন্ন, শাস্ত্ৰনির্দিষ্ট ভক্তিপূর্ণভজন ব্যতীত সেই তত্ত্বের পরিস্ফারণ অসম্ভব। তাই পরম কারুণিক শাস্ত্রকারগণ শ্ৰীকৃষ্ণতত্ত্বের বহুল আলোচনা করিয়াছেন। আমরা এ সম্বন্ধে সবিশেষ কোন কথার উল্লেখ না করিলেও যািট্ৰসন্দর্ভের জয়ধ্বনি করিয়া এস্থলে কেবল এইমাত্ৰ বলিতেছি যে শ্ৰীকৃষ্ণসন্দর্ভে শ্ৰীভাগবতের একটী শ্লোকই শ্ৰীকৃষ্ণের ভগবত্তাপ্ৰকাশক মূলশ্লোকরূপে আলোচিত হইয়াছে এবং সেই শ্লোকের পরিপোষক বহুল শ্লোক ও তদব্যাখ্যায় শ্ৰীকৃষ্ণতন্তু, ভজননিষ্ঠ ভক্তপাঠকের হৃদয়ঙ্গম করার উপায় প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। শ্ৰীপাদািসন্দর্ভকার । “এতেচাংশ কলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ম।” এই শ্লোকটীকে “বচন-রাজ” বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন। অর্থাৎ শ্ৰীকৃষ্ণেয় ভগবত্তা-নিরুপণে এই বচনটী রাজার হ্যায়। রাজা হইলে তঁাহার সৈন্য থাকা প্রয়োজনীয়, তাই সন্দর্ভকায় ইহার প্রতিপোষক অনেক বচন প্ৰমাণস্বরূপে উদ্ভূত করিয়া তাহার বিচার করিয়াছেন। তিনি এ সকল করিয়াও ক্ষান্ত হয়েন নাই, এই বচন-রাজের অনেক প্রতিনিধি বচন সংগ্ৰহ করিয়া ইঞ্চের ভগবত্তা শাস্ত্রীয় প্রমাণে দৃঢ়ৰূপে সংস্থাপিত করিয়াছেন। ཚང་ ༥