পাতা:শ্রীরায় রামানন্দ - রসিকমোহন বিদ্যাভূষণ.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

扩霉“ শ্ৰীয়ায় রামানন্দ । নিগুৰ্ণস্তাপ্রেময়ত শুদ্ধত্যমলাত্মন: কাঞ্চঃস্বৰ্গাদিকর্তৃত্বং ব্ৰহ্মণেই প্যভূপাগতম! ইহার প্রত্যুত্তরে পরাশর বলিতেছেন - শক্তযুঃ সৰ্ব্বভাবানােমচিন্ত্যজ্ঞানগোচরায় । যতো হতো ব্ৰহ্মণস্তিাস্তু সৰ্গদ্যো ভাবশাক্তয়: । ভবন্তি তপতাং শ্রেষ্ঠ পাবকস্ত যথেষ্ণতা ৷ শ্ৰীধর স্বামী ইহার যে টীকা করিয়াছেন। ভগবৎসান্দৰ্ভে উক্ত টীকা উদ্ধত হইয়াছে। উহার মৰ্ম্ম সম্বন্ধে শ্ৰীজীব এই মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন - r “এই শ্লোকে ব্ৰহ্মের সৃষ্টাদিকর্তৃত্ব শক্তি সম্বন্ধে উল্লেখ করা হইয়াছে। কিন্তু কথা এই যে ব্ৰহ্মকে যখন নিগুণ বলা হইল, তখন সেই নিগুণের আবার সৃষ্ট্যাদি করার শক্তি কোথায় । শ্ৰীধর স্বামীর মতে উক্ত শ্লোকের অর্থ এইরূপ :- ব্ৰহ্ম নিগুণ (সত্বাদিগুণরিহিত), অপ্ৰমেয় ( দেশকল্যাদি দ্বারা অপরিাচ্ছিন্ন), শুদ্ধ (আদেহ, সহকারীশূন্য), আমলাত্মা (পুণ্যপাপ সংস্কার বিহীন, অথবা রাগদ্বেষাদিশূন্য), এইরূপ স্বভাববিশিষ্ট ব্রহ্মের সৃষ্টি করিবার কর্তৃত্ব থাকিতে পারে কি ? র্যাহার প্রবৃত্তি আছে, কাৰ্য্য করার সামর্থ্য আছে, এ জগতের তিনিই কৰ্ত্তা এবং তাহাদ্বারাই কাৰ্য্য নিষ্পত্তি হইয়া থাকে। আমরা ঘটাদি যে সকল সৃষ্ট পদার্থ দেখিতে পাই, তাহা দেখিয়া আমাদের ধারণা হয় যে, এই সকল সৃষ্ট পদার্থের অবশ্যই একজন কৰ্ত্তা আছেন । যিনি কৰ্ত্ত অবশ্যই তঁহার কাৰ্য্য করিবার বাসনা এবং তদুপযোগিনী শক্তি আছে। কিন্তু ব্ৰহ্ম যদি নিগুণ ও নিক্রিয় হন, তবে তঁাহাকে কিরূপে স্থষ্টি কৰ্ত্ত বলা যােষ্টতে পারে ? এই আশঙ্কা স্বাভাবিক { এই আশঙ্কা পরিহারের নিমিত্ত পূজ্যপাদ শ্ৰীধর স্বামী পরিস্ফুট ব্যাখ্যা