পাতা:শ্রীশ্রীগোপালচম্পূঃ.pdf/৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগোপালচম্পাের ভূমিকা। Wど গোপালচম্পপূতে একাধারে কবিত্ব ও দার্শনিক্ষত্ব দেখাইয়া শ্রীজীবগোস্বামী জগতের এক অপূৰ্ব্ব মহোপকার করিয়াছেন। কত শত মহা চিন্তাশীল যে সকল লীলাতত্ত্ব লইয়া সুসিদ্ধান্ত করিতে পারেন নাই, এই চম্পূতে তৎসমুদয় বিস্তৃত ও সরলভাবে লিখিত হইয়াছে। ইহাতে একদিকে যেমন সুকবিতা, ছন্দ, অলঙ্কার ও বোধ শাস্ত্রের পাণ্ডিত্য, অন্যদিকে লীলা, ধাম ও ভগবত্তত্ত্ব লইয়া তেমনি দার্শনিকতা। ধন্য শ্ৰীজীবগোস্বামী। এই এক চম্পূ গ্ৰন্থই তঁহাকে জগতে চিরস্থায়ী করিয়া রাখিয়াছেন । g OY D DBBBD SBDTuD L DK KuBDB KYDB sOLKK DBSYSDBDD SKY দৃষ্টিগোচর হয় না। সমাসবিন্যাস ও অধিকাংশ দুরূহ শব্দের প্রয়োগ বশতঃ এই গ্রন্থের রচনাকে গৌড়ীরীতি বলা যাইতে পারে। “সমাস বহুল গৌড়ী” এই কথা ইহার বহুস্থানে দৃষ্ট হয়। বৈদভী ও পাঞ্চালী রীতির যদিও ইহাতে অভাব নাই, তথাপি তাহা প্ৰধান নহে। গ্ৰন্থকার এই গ্রন্থের কথা ও কথকের এমন বৈচিত্রী করিয়াছেন, যাহার শ্ৰবণে কল্পনা-কাব্য কাদম্বরীকে ও পরাস্ত করিয়াছে। এই গ্রন্থে কদম্বরী, উত্তর রামচরিত, নৈষধচরিত, মাঘ, রঘুবংশাদি প্ৰাচীন কাব্যের এবং শ্ৰী রূপের অনেক গ্রন্থের রচনার অনুসরণ দৃষ্ট হইয়া থাকে। যে সকল লীলা৷ হইয়া গিয়াছে তাহাঁই গোলোকের রাজভবনের দ্বারদেশে কৃষ্ণের আত্মীয়গণকে শ্ৰোতা করিয়া কথকের মুখে বৰ্ণনা করিয়াছেন। ইহার অসংখ্য লীলা মধ্যে মিলনের পুব্ব ঘটনা অর্থাৎ সংযোগ, বিরহ ও পুনর্মিলন বড়ই সুন্দর। প্ৰত্যেক লীলা বিপুল ভাবে বর্ণনা করিয়া প্ৰত্যেক পূরণের শেষে বা ঘটনার শেষে বন্দীদিগের মুখে সেই সেই লীলা সংক্ষেপে স্তুতিছলে যে বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাতে গ্রন্থের মৰ্ম্ম সংক্ষেপে বুঝিবার এক উপায় ; অথচ, বন্দিবাক্যে গায়কের ও লীলার গৌরবও প্ৰকাশ পাইয়াছে। স্থল বিশেষে এক এক পুরাণে কখন কখন ২।৩।৪ বারও কথা সমাপন করিয়াছেন। “সমাপন মাহম” এই কথা বারবার দৃষ্ট হয়। একই পুরণে ভিন্ন ভিন্ন লীলার আরম্ভ এবং পরিসমাপ্তি আছে, এজন্য ঐ রূপ ব্যবহার হইয়াছে। শ্ৰী গোপালচন্দপুর পুব্বাচস্পপুটী সম্যক প্রচলিত সিদ্ধান্তে এবং উত্তর চম্পূটী অপ্ৰচিলত সিদ্ধান্তে পরিপূর্ণ। সুবৃহৎ ৩৭ পূরণে পুরলীলা ও ব্রজলীলার এক