চঞ্জীর এই পদ্যানুবাদ উপলক্ষে মূলগ্রন্থ সম্বন্ধে দুই চারিটি কথা বলিবার প্রয়োজন আছে । আমি এস্থলে তাহ বলিবার অভিপ্রায় করিয়াছি। কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বে, এই অনুবাদের সহিত আমার কি সম্বন্ধ—তাহা উল্লেখ করা কর্তব্য। চণ্ডী আমাদের ধৰ্ম্মগ্রন্থ। ধৰ্ম্মগ্রন্থের যতই প্রচার হয়—ততই মঙ্গল। মূলচণ্ডী হিন্দু গৃহে পূজা-পাৰ্ব্বণে পঠিত হইয়া থাকে বটে, কিন্তু অল্প লোকেই তাহার অর্থ গ্রহণ করেন। ধৰ্ম্মগ্রন্থের আবৃত্তি অপেক্ষ, অর্থ গ্রহণ যে সমধিক ফলপ্রদ, তাহ আর বলিতে হুইবে না। এক্ষণে আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকই সংস্কৃত জানেন না। সুতরাং যাহারা চঞ্জীর অর্থগ্রহণ করিতে ইচ্ছা করেন, মূলগ্রন্থের অনুবাদ পড়িয়া তাহাদের প্রায়ই সে ইচ্ছা পূর্ণ করিতে হয়। ভাষা গদ্যানুবাদ কখন সুখ-পাঠ্য হয় না । ছন্দ-সুরহালের কি এক অদ্ভূত প্রাণম্পর্শী মোহিনী শক্তি আছে—ছন্দ ও সুরের সহিত অর্থ ও ভাবের কি এক আশ্চর্য্য সম্বন্ধ আছে যে, স্বর ও ছন্দের সহিত কোন কথা বলিতে পারিলে, তাহা বড় হৃদয়গাহী হইয়া অন্তরে দৃঢ় অঙ্কিত হইয়া যায় ;–গদ্যে তাহা সম্ভব হয় না। এইজন্য বোধহয় আমাদের সকল শাস্ত্রগ্রন্থই ছনে রচিত । এষ্টজন্তই চণ্ডীর সুখ-পাঠ্য পদ্যামুলাদের প্রয়োজন । MAAAS S SAAAASAAAAM MAMSMSMS
পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।