মাহাত্ম্য। రిసి বেদের পরিবর্তে, শাক্তগণ চণ্ডী-পাঠই করিয়া থাকেন। বৈদিক ঞ্জেকালে যেমন বেদমন্ত্রউচ্চারিত ও উদগীত হইত, এক্ষুণে পূজাপাৰ্ব্বণে সেইরূপ চণ্ডী-পাঠ হুইয়া থাকে। বৈদিক ভারত এখন তান্ত্রিক হইয়াছে। —বেদ-প্রধান ভারতবর্ষ এখন চণ্ডী-প্রধান ইয়াছে। ভারতবর্ষ হিন্দুপ্রধান দেশ। এক্ষণে এই ভারতবর্ষে বোধহয় শক্তের সখ্যাই অধিক। সুতরাং চওঁী-পাঠের কিরূপ বহুল বিস্তার—তাহ সহজেই উপলব্ধি করিতে পারি। চণ্ডী যে কেবল পূজা-পাৰ্ব্বণে স্বস্ত্যয়নে পঠিত হয়—তাহ। নহে। এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাহার প্রত্যহ অন্ততঃ একবারও চণ্ডী-পাঠ করিয়া থাকেন। বোধহয়, জগতে কোন গ্ৰন্থই নাই—যাহ সমগ্র এতবার পঠিত হইয়াছে। ইহা হইতে ধৰ্ম্মজগতে চণ্ডীগ্রন্থের স্থান কত উচ্চে—তাহ আমরা উপলব্ধি করিতে পারি। যে গ্রন্থ এত অধিক পঠিত হয়-- যাহার পাঠে এত অধিক ফল হিন্দুরা বিশ্বাস করেন, সে গ্রন্থ-পাঠের বিধানেরও বড় বাধাবাধি আছে। “ চিদাম্বর-অন্ত্রে ” চণ্ডীপাঠ বিধান সম্বন্ধে, মার্কণ্ডেয় ঋষির প্রতি ব্ৰহ্ম-বাক্য যাহা উল্লিখিত হইয়াছে তাঙ্গ এই “ অর্গলং কীলকঞ্চাদে পঠিত্ব। কবচ পঠেৎ । জপেত সপ্তশতীং পশ্চাৎ ক্রম এষ শিবোদিত ॥” চণ্ডী-পাঠের পূৰ্ব্বে চণ্ডী-গ্ৰন্থকে আধারে স্থাপন করিতে হয়। প্রথমে চণ্ডীর পূজা ধান করিয়া অর্গল পাঠ করিতে হয় ; তাহার পর চণ্ডীর ধ্যান করিয়া কীলক ও কবচ পাঠ করিতে হয় ; আবার দেবীর ধ্যান করিতে হয়। ইহা ব্যতীত “ দেবী-হুক্ত ” জপ
পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।