মাহাত্ম্য । Ꮌ8Ꮼ যশোদার কথাও উল্লিখিত আছে। তাহার পর দেখা যায় যে, গীত। যেমন বৈষ্ণবদের–চওঁীও তেমনই শাক্তদের প্রধান ধৰ্ম্মগ্রন্থ। আমরা দেখিতে পাই, গীতার স্থায় চণ্ডীতেও সাত শত শ্লোক থাকা স্বীকৃত হইয়াছে। বাস্তবিক কেবল শ্লোক হিসাবে ধরিলে, চণ্ডাতে সৰ্ব্বসমেত ৫৭৯ শ্লোক আছে। তবেইহাকে সপ্তশতী মন্ত্ৰ-গ্ৰন্থ করিবার জন্য, ইহাতে সাত শত শ্লোক থাকা কল্পনা করা হইয়াছে ; এবং চণ্ডীর ‘ উবাচ ’ প্রভৃতিকে এক একটী স্বতন্ত্র শ্লোক ধরিয়া, তবে সপ্তশত শ্লোক পূরণ করা হইয়াছে, ইহা বলা যাইতে পারে। আবার অন্ত দিকে এসম্বন্ধেবলিতে পারা যায় যে,গীতার অনুকরণে যে চণ্ডীতে এইরূপ সাত শত শ্লোক কল্পনা করা হইয়াছে—ইহা বলিবার কোন কারণ নাই। কেন না, মন্ত্র-রূপে যে কয়েকটি কথা যেখানে একবারে বা একাধিক ক্রমে উচ্চারণ করিতে হয়— সেখানে সে কয়েকটি কথাই একটি মন্ত্র-রূপে পরিগৃহীত হইয়াছে। এই ভাবে গণনা করিয়া চণ্ডীতে সাত শত মন্ত্র পাওয়া যায় বলিয়া, চণ্ডীকে সপ্তশতী বলা হইয়াছে। চণ্ডী-রচনার কাল-নির্ণয় করিবার, এখন আর উপায় নাই বলিয়া বোধ হয়। তবে চণ্ডী যে কালেই রচিত হউক, ইহা যে আমর— চিরকালের সম্পত্তি—সমগ্র মানবজাতির সম্পত্তি, তাহ নিরপেক্ষ বুদ্ধিমান পণ্ডিত মাত্রেই স্বীকার করিতে বাধ্য হইবেন । চণ্ডীগ্রন্থ কালেরকোন অদৃষ্ট অজ্ঞাত দ্বারদিয়া আসিয়াছে—তাহা আমরাজানি না বটে, যে স্রোতস্বিনী অমৃত-বারি দান করিয়া জনপদ-বিশেষকে স্বর্ণ-প্ৰসবিনী করিয়াছে—তাহার মূল উৎপত্তি-স্থান আমরা খুজিয়া পাই না বটে, কিন্তু তাহাতে কিছুই আসিয়া যায় না। এইরূপ
পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/১৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।