సిరి চণ্ডী তাহা নিতান্ত আধুনিক বলিয়া পণ্ডিতগণ স্বীকার করেন। পূৰ্ব্বে বলিয়াছি যে, দর্শনের ‘মায়াবাদ’ বা ‘প্রকৃতিবাদ এই ‘শক্তিবাদ হইতে ভিন্ন। এই শক্তিবাদ পৌরাণিক । পুরাণের মধ্যে আবার মার্কণ্ডেয় পুরাণেই চণ্ডী-মাহাত্ম্য প্রথমেই বিবৃত হইয়াছিল বলিতে চষ্ট্রবে। ভগবতী পুরাণে যে চণ্ডী-মাহাত্ম্য বিবৃত আছে, তাহ এই চণ্ডী হইতেই অমুকৃত দলিয়া বোধ হয়। 'কালিকা পুরাণ ও ‘দেবী পুরাণ যে উপপুরাণ ও চণ্ডীর পরদী গ্রন্থ—তাহা সকলেই স্বীকার করিয়া থাকেন। অতএব স্বীকার করিতে হইবে যে, এই চওঁীগ্রন্থেই শক্তিবাদ প্রথম প্রচারিত হইয়াছিল। এইজন্তই হিন্দুর নিকট চঞ্জীর এত আদর,—ধৰ্ম্ম-জগতে চণ্ডীর স্থান এত উচ্চ। এই জন্যই বোধহয় শক্তিবাদের প্রথম-প্রবর্তক মার্কণ্ডেয় ঋষি ত্রিকালদশী, এবং ব্ৰহ্মার সাতদিন ব্যাপিয়া তাহার জীবন-কাল, ইহা পুরাণে উল্লিখিত হইয়া থাকে। যিনি এই শক্তিবাদ প্রবর্তন-কৰ্ত্ত— যিনি মাতৃ-ভাবে সাধন-পথের প্রথম-প্রদর্শক, তিনি যে এইরূপে অমরত্ব লাভ করিবেন, ইহাতে আশ্চর্য্যের বিষয় কিছুই নাই। এই শক্তিবাদ প্রচারিত হওয়াতে, ধৰ্ম্ম-জগতে যে মহা বিপ্লব ঘটিয়াছিল তাহার ফলে এই শক্তিবাদ এক সময় সমগ্র ভারতে পরিব্যপ্ত হইয়াছিল। এমন কি তিব্বত, চীন প্রভৃতি দূর দেশে, বৌদ্ধগণ এই শক্তিবাদ আংশিক-রূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু সে সকল কথাও এস্থলে উল্লেখের প্রয়োজন নাই। যাহা হউক, যে মহাপুরুষ এই অদ্ভুত শক্তিবাদ প্রথম প্রচার করিয়াছিলেন—ধৰ্ম্ম-জগতে ইহার প্রথম প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, র্তাচার জয় হউক। আমরা ক্ষুদ্র মানব-ৰ্তাহার মহিমা বুঝিতে
পাতা:শ্রীশ্রীচণ্ডী-মহেন্দ্র নাথ মিত্র.djvu/২০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।