পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । মধ্য। ১৩ পরিচ্ছেদ । আপন ইচ্ছায় চলে করিতে বিহার ॥ মহাপ্রভু মণিমা বলি করে উচ্চ ধ্বনি। নানা বাদ্য কোলাহল কিছুই না শুনি ॥৮। তবে প্রতাপরুদ্র করে আপনে সেবন । স্বর্ণমার্জনী লৈয়া করে পথ সংমার্জন ॥ চন্দন জলে করেন পথ নিষিঞ্চলে । তুচ্ছ সেবা করে বৈসে রাজসিংহাসনে ॥ উত্তম হইয়। রাজ করে তুচ্ছসেবন । অতএব জগন্নাথের কৃপার ভাজন ॥ মহাপ্রভু স্থখ পাইল সে সেবা দেখিতে। মহাপ্রভুর কৃপা পাইলা সে সেবা হইতে ॥৯ রথের সাজনি দেখি লোকে চমৎকার । সব হেমময় রথ সুমেরু আকার । শত শত শুক্ল চামর দর্পণ উজ্জল। উপরে পতাকা শত চীন্দোয় নিৰ্ম্মল। ঘাঘর কিঙ্কিণী বাজে ঘণ্টার কণিত। জগন্নাথদেব বিশ্বম্ভর মূৰ্ত্তি র্তাহাকে চালাইতে কাহারও শক্তি নাই,তিনি বিহার করিবার নিমিত্তঙ্গাপন ইচ্ছায় গমন করিতেছেন,মহাপ্রভু মণিম বলিয়া উচ্চ ধ্বনি করিতে লাগিলেন কিন্তু নানা বাদ্য কোলাহলে কিছুই শ্রবণ গোচয় হইতেছে না ৷ ৮ ৷৷ x তখন রাজা প্রতাপরুদ্র স্বয়ং দেবাকার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়। হস্তে স্বর্ণমীর্জনী গ্রহণ করত পথ মার্জন, চন্দন জলে পথ সেচন করিতে লাগিলেন । কি আশ্চর্য্য !"রাজ সিংহাসনে উপবেশন করেন অথচ জগন্নাথদেবের তুচ্ছ সেবা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । উত্তম হইয়। তুচ্ছ সেবা করিতেছেন, অতএব রাজা জগন্নাথের কৃপাপাত্র রাজীর এই সেব দেখিয়া মহাপ্রভু আতিশয় প্রীত হইলেন, সুতরাং এই সেবা হইতে র্তাহার প্রতি মহাপ্রভুর কৃপা হইল ॥ ৯ ॥ সে যাহা হউক, রথের সজ্জা দেখিয়া লোক সকল চমৎকৃত হইল, সমুদায় রথ স্বর্ণময়, দেখিতে স্বমেরু তুল্য আকার,রথের উপরে শত শত শুভ্র চামর,উজ্জ্বল দর্পণ, পতাকা ও নিৰ্ম্মল চন্দ্রাতপ, রথে ঘর ঘর ও কিঙ্কিণীর শব্দ হইতেছে এবং নানা চিত্র পটবস্ত্রে রথ বিভূষিত । 醫一 籃