পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত - মধ্যলীলা.pdf/৬৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

疆 মধ্য । ১৬ পরিচ্ছেদ। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত । Øኅ ዓ দেখিলে সে জানি । তাহার প্রভাবে তারে ঈশ্নর করি মানি ॥ এত কহি সেই চর হরি কৃষ্ণ গায়। হাসে কানো নাচে গায় বাতুলের প্রায় ॥৬৮ এত শুনি যবনের মন ফিরি গেল। আপন বিশ্বাস উড়িয়া স্থানে পাঠীইল ॥ বিশ্বাস আসিয়া প্রভুর চরণ বন্দিল কৃষ্ণ কৃষ্ণ কহে প্রেমে বিহ্বল হইল ॥৬৯। ধৈর্য্য করি উড়িয়াকে কহে নমস্করি । তোমার ঠাঞি পাঠাইল মেছ অধিকারী ॥ তুমি যদি আজ্ঞা দেহ এথাতে আসিয়। যবনাধিকারী যায় প্রভুরে দেখিয় । বহুত উৎকণ্ঠ তার করিয়াছে বিনয় । তোমা সনে এই সন্ধি নাহি যুদ্ধ ভয় ॥ ৭০ ৷ শুনি মহাপাত্র কহে হইয়া বিস্ময়। মদ্যপ যবনের চিত্ত ঐছে কে করয় ॥ প্রভুর প্রতাপে তার মন ফিরাইল । দর্শন শ্রবণে যার জগৎ তরিল ॥ 2.டி তাহার প্রভাবে তাহাকে ঈশ্বর করিয়া মানিতেছি । এই বলিয়া সেই চর হরি কৃষ্ণ বলিয়া গান করত উম্মত্তের প্রায় হস্ত, নৃত্য ও গড়াগড়ি দিতে লাগিল ॥ ৬৮ ৷৷ এই কথা শুনিয়া যবনের মন ফিরিয়া গেল, আপনার বিশ্বাসকে উড়িয়া স্থানে প্রেরণ করলেন। বিশ্বাস ( দেশদি পরিদর্শক কিঙ্কর) আসিয়া প্রভুর চরণ বন্দনা করিল এবং “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” কহিয়৷ প্রেমে বিহ্বল হইল ॥ ৬৯ ৷ . ; অনন্তর ধৈর্য্য ধারণ পূর্বক নমস্কার করিয়া রাজাধিকারী উড়িয়। কে কহিল, তোমার নিকট মেচ্ছধিকারী আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, তুমি যদি আজ্ঞ দাও তাহ হইলে যবনাধিকারী এ স্থানে আগমন করিয়া প্রভুকে দর্শন করিয়া যান। তাহার অতিশয় উৎকণ্ঠা,তিনি বিনয় করিয়া কহিয়াছেন তাহার সহিত এই সন্ধি, যুদ্ধের ভয় নাই ॥ ৭০ ৷ মহাপাত্র এই কথা শ্রবণ করিয়া বিস্মিত হওত কহিলেন,মদ্যপ যবনের চিত্ত এরূপ কে করিল, বোধ করি প্রভুর প্রতাপ্লই তাহার মন