পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত.djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* Xう মধ্যমখণ্ড মোর প্রকাশ করিতে । ঝাট আইনু তোর দুঃখ না পারে সহিতে ॥ তোমারে চিনিল মোর নাঢ ভালমতে। সৰ্ব্বভাবে মোরে বন্দী করিল অদ্বৈতে ॥ ভক্ত বা চাইতে নিজ ঠাকুর সেজনে। কিবা বোলে কিবা করে ভক্তের কারণে জ্বলন্ত অনল ক্লষ্ণ ভক্ত লাগি খায়। ভক্তের কিঙ্কর হয় আপন ইচ্ছায়। ভক্তবই কৃষ্ণ আর কিছুই নাজানে। ভক্তের সমান নাহি অনন্ত ভুবনে ॥ হেনকৃষ্ণ তক্তনামে ন পায় সন্তোষ । সেইসব পাপীরে লাগিল দৈবদোষ । ভক্তের মহিমা ভাই দেখ চক্ষু ভরি। কি বলিলা হরিদাস প্রতি গৌরহরি। প্রভু মুখে শুনি মহা করুণ বচন। মুৰ্ছিত পডিলা হরিদাস ততক্ষণ ॥ বাহ দূর গেল ভূমিতলে হরিদাস । আনন্দে ডুবিল তিলদ্ধেক নাহি শ্বাস ॥ প্ৰভু বোলে উঠ২ মোর হরিদাস । মনে রথ ভরি দেখ আমার প্রকাশ ৷ বাহ পাই হরিদাস প্রভুর বচনে। কোথা ৰূপ দরশন করয়ে ক্রনদনে ॥ সকল অঙ্গনে পডি গডাপড়ি যায়। মহা শ্বাস বহে ক্ষণে ক্ষণে মুচ্ছ পায়। মহাবেশ হৈল হরিদাসের শরীরে । চৈতন্য করয়ে স্থির তভূ নহে স্থিরে। বাপ বিশ্বম্ভর প্রভু জগতের নাথ ! পাতকীরে ত্রাণ কর পডিল তোমাত। নিগুণ অধম সৰ্ব্বজাতি বহিস্কৃত। মুঞি কিবলিব সৰ্ব্ব জগতে বিদিত। দেখিলে পাতক মোরে পরশিলে স্নান। মুঞিকি বলিব প্রভু তোমার আখ্যান ৷ একসত্য করিয়াছি আপন বদনে। যেঞ্জন তোমার করে চরণ স্মরণে কীট তল্য হয় যদি তারে নাহি ছাড় । ইহাতে অন্যথা হৈলে নরেন্দ্রেরে পাড়। এহোবল ন৷ হি মোর স্মরণ বিহীন । স্মরণ করিতে মাত্র রাখ স্তমি দীন সভামধ্যে দ্রৌপদী করিতে বিবসন। অনিল পাপীষ্ঠ দুর্য্যোধন দুঃশাসন ॥ সঙ্কটে পড়িয়া কৃষ্ণা তে। আ সঙরিলা । স্মরণ প্রভাবে ত্তমি বস্ত্রে প্রবেশিলা ॥ স্মরণ প্রভাবে বস্ত্র হইল অনন্ত । তথাপিহ না জানিল সেসব দুরন্ত ॥ কোনো কালে পাৰ্ব্বতীরে ডাকিনীর গণে । বেড়িয়া খাইতে কৈল তোমার স্মরণে ॥ স্মরণ প্রভাবে তুমি আবিভূতি হুঞা। করিলা সভার শান্তি বৈষ্ণবী তারিয়া। হেন তোমার স্মরণ বিহীন মুঞি পাপ । মোরে তোর চরণে স্মরণ দেহ বাপ ॥ বিষ সৰ্পে অগ্নি জ্বলে পাথরে বা iন্ধয়। পেলিল প্রহ্নাদে দুষ্ট হিরণ্য ধরিয়া ॥ প্রহ্নাদ করিল তোমার চরণে স্মরণ স্মরণ প্রভাবে সৰ্ব্ব কৃত্যা বিমোচন ॥ কার বা ভাঙ্গিল দন্ত কার তেজ নাশ ॥ স্মরণ প্রভাবে তুমি হইলা প্রকাশ ॥ পাণ্ডুপুত্র সঙরিল দুৰ্ব্বাসার ভয়ে । অরণ্যে প্রত্য ক্ষ হৈলা হইয়া সদয়ে চিন্তা নাহি যুধিষ্ঠির হের দেখ আমি । আমি দিব মুনি ভক্ষ বসি থাক তুমি । অবশেষ এক শাক আছিল হাড়িতে। সন্তোষে খাইলে নিজ সেবক রাখিতে। স্নানে সব ঋষির উদর মহা ফুলে। সেইমতে সব ঋষি পলাইলা ডরে। স্মরণ প্রভাবে পাণ্ড পুত্রের মোচন। এসব কৌতুক যত ঘরণ কারণ ॥ অখণ্ড গরম ধৰ্ম্ম এই সভাকার । তেঞি চিত্ত নহে ইহা সভার উদ্ধার